Box Jellyfish: বিশ্বের এমন অনেক ধরনের প্রাণী রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে মানুষ খুবই কম জানে। কিন্তু সেই অজানা তথ্যকে তুলে ধরতেই বিজ্ঞানীরা (Scientists) আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। তেমনই আবারও একটি নতুন প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন। যার 24টি চোখ রয়েছে। আর তারপরেই তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। হংকংয়ের (Hong Kong) একটি পুকুর থেকে বেরিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক প্রাণী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রাণীটি আসলে অত্যন্ত বিষাক্ত জেলিফিশের একটি নতুন প্রজাতি। প্রাণীটির দেহ এক ইঞ্চিরও কম লম্বা এবং স্বচ্ছ। এটি হংকংয়ের মাই পো রিজার্ভের একটি ছোট পুকুরে পাওয়া গিয়েছে। প্রাণীটির তিনটি লম্বা পা রয়েছে, যা 10 সেমি পর্যন্ত বড়। তবে বিজ্ঞানীরা এটিকে অন্য সব জেলিফিশের থেকে একেবারে আলাদা বলেছেন। কিন্তু কেন?
এই জেলিফিশটি অন্য সব জেলিফিশর প্রজাতি থেকে আলাদা কেন?
আপনি সাধারণত গোল জেলিফিশ দেখে থাকবেন। কিন্তু নতুন আবিষ্কার করা জেলিফিশটি অন্য সব প্রজাতির থেকে আলাদা। এর কারণও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন যে জেলিফিশটি পাওয়া গিয়েছে, তা গোল নয়। বরং বক্স আকৃতির। তারা জানাচ্ছেন, এটি বক্স জেলিফিশের একটি নতুন প্রজাতি। যা বর্তমানে প্রায় লুপ্তপ্রায় অবস্থায়। এই প্রাণীটির 24টি চোখ রয়েছে।
এই জেলিফিশের প্রজাতি সম্পর্কে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?
এই জেলিফিশটির চোখ সেনসরি অর্গানে লুকিয়ে থাকে, যাকে বলা হয় রোপালিয়াম। বক্স জেলিফিশের নামকরণ করা হয়েছে তার দেহের আকার অনুসারে। এর লম্বা এবং পাতলা পা রয়েছে, যা থেকে সে বিষ নির্গত করে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই জেলিফিশের বিষ কয়েক মিনিটের মধ্যে প্যারালাইসিস, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এর অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ নামে আরও একটি প্রজাতি রয়েছে। যা বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত সামুদ্রিক প্রাণী। বক্স জেলিফিশ ছাড়াও বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ট্রিপেডেলিয়া মাইপোয়েনসিস। এই গবেষণার প্রধান গবেষক প্রফেসর কিউ জিয়ানওয়েন বলেন, “এই প্রজাতিটি বর্তমানে শুধুমাত্র মাই পোতে পাওয়া যায়। এই আবিষ্কারটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই জেলিফিশটি প্রথমবার হংকংয়ের জলে দেখা গিয়েছে।”
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জেলিফিশের প্রায় 50টি প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্য়ে বক্স জেলিফিশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সামুদ্রিক প্রাণীর তালিকায় রাখাই যেতে পারে। হংকং ব্যাপ্টিস্ট ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তিন বছর ধরে জেলিফিশ নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা দেখেছেন মাই পো নেচার রিজার্ভের পুকুরে চিংড়ির চেয়ে বেশি জেলিফিশ রয়েছে। তার মধ্য়েই এই জেলিফিশটি অনন্য।