Chandrayaan-2: চন্দ্রপৃষ্ঠে আর্গন- ৪০ এর অস্তিত্ব, নতুন আবিষ্কার চন্দ্রযান- ২- এর, এই আর্গন- ৪০ আসলে কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Mar 08, 2022 | 4:34 PM

Chandrayaan-2: মূলত চাঁদের বায়ুমণ্ডলের (Lunar Atmosphere) বাইরের অংশে এই আর্গন- ৪০ (Argon- 40) এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে চন্দ্রযান- ২ (Chandrayaan-2)।

Chandrayaan-2: চন্দ্রপৃষ্ঠে আর্গন- ৪০ এর অস্তিত্ব, নতুন আবিষ্কার চন্দ্রযান- ২- এর, এই আর্গন- ৪০ আসলে কী?
ছবি প্রতীকী।

Follow Us

চন্দ্রপৃষ্ঠে (Lunar Surface) কী ঘটছে বা বলা ভাল চাঁদের পৃষ্ঠদেশের নীচের স্তরে (under the surface of the Moon) কী কর্মকাণ্ড চলছে নতুন করে সেই ব্যাপারে আভাস পেয়েছে চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2)। চলতি বছর অগস্ট মাসে চন্দ্রযান-২ এর সাকসেসর মডেল আসতে চলেছে। তার আগেই ফের চমক দিয়েছেন চন্দ্রযান- ২। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-২ এর মধ্যে রয়েছে Chandra’s Atmospheric Composition Explorer-2 (CHACE-2)। আর এর সাহায্যেই tenuous lunar exosphere বা চাঁদের পাতলা অর্থাৎ ক্ষীণ বহির্মণ্ডলে পাওয়া গিয়েছে আর্গন- ৪০ (Argon-40) এর অস্তিত্ব।

চন্দ্রযান- ২ এর এই নতুন পর্যবেক্ষণ লুনার সারফেস বা চন্দ্রপৃষ্ঠের নীচে প্রথম ১০ মিটারের মধ্যে ঠিক কী কী রয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করেছে। এর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন সম্পর্কেও ধারণা করা যাবে। চাঁদের নিরক্ষীয় এবং মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চলে আর্গনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়। চন্দ্রপৃষ্ঠের নিম্নস্তরে এর আগেও আর্গন ৪০ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এ যাবৎ এই আর্গন ৪০- এর অস্তিত্ব চন্দ্রপৃষ্ঠের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছাকাছি এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। অ্যাপোলো ১৭ মিশনের মাধ্যমেই এতদিন আর্গন ৪০- এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল চাঁদের বুকে।

এই আর্গন ৪০ আসলে কী?

আর্গন আসলে একটি নোবেল গ্যাস। এর না আছে গন্ধ, না আছে বর্ণ। কার্যত একে জড়বস্তুই বলা চলে। পৃথিবীতে আর্গনের সিংহভাগই হল আইসোটোপ আর্গন- ৪০, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের নীচে উপস্থিত পটাসিয়াম-৪০ বা (K-40)- র তেজস্ক্রিয় বিচ্ছিন্নতা থেকে উদ্ভূত হয়। ইসরো জানিয়েছে, একবার এই আর্গন- ৪০ আইসোটোপ গঠন হলে, সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠের নীচের আন্তঃ দানাদার স্থানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তলদেশের বিভিন্ন ছিদ্র ও ত্রুটির মাধ্যমে ক্রমশ উপরে উঠে এসে চন্দ্র বহির্বিশ্বে তার পথ তৈরি করে। লুনার এক্সোস্ফিয়ার হল চাঁদের সবচেয়ে বাইরের অংশ। বলা যায়, চাঁদের উপরের বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বাইরের অংশ হল এই চন্দ্র এক্সোস্ফিয়ার। এই অঞ্চলে কোনও উপাদানে অণু-পরমাণু খুব কমই একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং মহাবিশ্বে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

চন্দ্রযান- ২ ঠিক কী খুঁজে পেয়েছে?

মূলত চাঁদের বায়ুমণ্ডলে বাইরের অংশে আর্গন ৪০- এর উপস্থিতিই টের পেয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান- ২। ইসরো জানিয়েছে, আর্গন- ৪০ এর এই উপস্থিতি চাঁদের বাইরের বায়ুমণ্ডলের (এক্সোস্ফিয়ার) গতিশীলতা এবং চাঁদের পৃষ্ঠের নীচে প্রাথমিক কয়েক মিটারে তেজস্ক্রিয় কার্যকলাপের উপর আলোকপাত করেছে।

আরও পড়ুন- Flower on Mars: ফুল ফুটেছে মঙ্গলের বুকে! লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে রুক্ষ-পাথুরে ফুল, কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই গঠন?

আরও পড়ুন- Cosmic Vampire: পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকা ব্ল্যাক হোল আসলে কৃষ্ণ গহ্বরই নয়!

Next Article