Cocobo Robot: জাপানে পুলিশের পরিবর্তে রাস্তায় রোবট! AI-এর মাধ্যমে ঘনঘন টহলদারি, ধরছে চোর-ডাকাতও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jan 22, 2022 | 5:05 AM

Security Robot: এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপরে ভিত্তি করে কাজ করতে সক্ষম এই রোবট সিকিওরিটি গার্ডের পরিবর্তে টহলদারি ও এলাকা পরিদর্শনের কাজ করছে জাপানে। এই রোবটের সর্বোচ্চ স্পিড ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। ভিজ়ুয়াল, অডিয়ো এবং স্মোক ওয়ার্নিং পর্যন্ত দিতে পারে কোকোবো নামের রোবটটি।

Follow Us

রাস্তাঘাটে শান্তিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য রোবট (Robot) নামল জাপানের রাস্তায়! সে দেশের সিকম নামক এক সিকিওরিটি কোম্পানি এমনই একটি রোবট তৈরি করেছে, যা পাবলিক প্লেসে নিরাপত্তা এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজটি নিশ্চিত করছে। রোবটের নাম কোকোবো (Cocobo)। এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) উপরে ভিত্তি করে কাজ করতে সক্ষম এই রোবট সিকিওরিটি গার্ডের পরিবর্তে টহলদারি ও এলাকা পরিদর্শনের কাজ করছে জাপানে। এই রোবটের সর্বোচ্চ স্পিড ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। ভিজ়ুয়াল, অডিয়ো এবং স্মোক ওয়ার্নিং পর্যন্ত দিতে পারে কোকোবো নামের রোবটটি। বদ মতলবি মানুষ এবং সন্দেহজনক লোকজনকে কাটিংএজ প্রযুক্তির সাহায্য়ে ধরতে পারে রোবটটি।

মানুষের বন্ধুর মতোই কাজ করে কোকোবো

জাপানের প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ডিজাইনবুম-এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, কোকোবো নামের রোবটটি ডেভেলপ করা হয়েছে সিকম-এর ডিজ়াইন ফ্যাক্টরিতে। কোটা নেজ়ু অফ জ়ুঙ্গ ডিজাইন এবং লোফ্টওয়ার্ক-এর সহযোগিতায় এই রোবটটি তৈরি করেছে সিকম। পাবলিক স্পেসের সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং মর্যাদা ও বন্ধুত্বের মতো ধারণাগুলির উপর ফোকাস করে তৈরি করা হয়েছে এই রোবটগুলি, যাতে কোকোবো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দক্ষতার সঙ্গে একত্রিত হতে পারে। কগনিটিভ কোঅপারেশন রোবট থেকেই এই কোকোবো নামটি এসেছে। প্রযুক্তিগত প্রাণী যাতে মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁর দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতা করতে পারে, সেই ভাবনা থেকেই কোকোবো নামটি দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন রোবটের নির্মাতারা।

কী ভাবে কাজ করে

টহলদারির রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চলতে পারে কোকোবো। এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষণটি অনবোর্ড ক্যামেরার সাহায্যে তোলা চিত্রগুলিতে রিয়্যাল-টাইম ভিত্তিতে সঞ্চালিত হয়। নোংরা থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিতক্ত বস্তু পর্যন্ত সনাক্তকরণে সক্ষম এটি। কোকোবো-র সর্বোচ্চ স্পিড হল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার এবং তার পদক্ষেপ ৫০মিমি পর্যন্ত। ওয়াটারপ্রফ এই রোবট আউটডোরে, দুর্গম রাস্তায় ছুটতে পারে। স্বয়ংক্রিয় ভাবেই এটি রাস্তায় বিভিন্ন বাধা চিহ্নিত করতে পারে এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে। টানা ৩ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারে কোকোবো। এছাড়াও এনার্জি লেভেল মনিটর করার মধ্যে দিয়ে এটি প্রয়োজনের সময় নিজে থেকেই চার্জিং স্ট্যান্ড ফিরিয়ে দিতে পারে।

চোর পালানোর চেষ্টা করলে ধোঁয়া নির্গমন করে কোকোবো।

চোর ধরে কী ভাবে

সন্দেহজনক ব্যক্তি চিহ্নিত করতে পারলে অডিয়ো এবং ভিজ়্যুয়াল সতর্কতা দেয় কোকোবো। আবার সেই সন্দেহজনক ব্যক্তির পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এটি ধোঁয়া নির্গত করে তাকে বাধাও দিতে পারে। কোকোবো-র পরিদর্শন কাজের সময়, বিশেষ করে বেঞ্চের নীচে বা ভেন্ডিং মেশিনের পিছনে বা নীচের মতো জায়গাগুলি পরিদর্শনের জন্য একটি বাহু সংযুক্ত করা যেতে পারে যেখানে পৌঁছনো কঠিন। এছাড়াও, কোকোবো-র ক্লাউডে বিভিন্ন ডেটার অ্য়াকসেস রয়েছে। যেমন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ, লিফট, বৈদ্যুতিক লক এবং এলাকার অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কেও একাধিক তথ্য তার নখদর্পণে। মানুষের সহযোগিতায় এই নতুন রোবটটি বড় আকারের নিরাপত্তার ক্রিয়াকলাপে দক্ষ এবং গুণমানের উন্নতি উপলব্ধি করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: ৭ বছরের অসুস্থ বাচ্চার হয়ে স্কুলে ক্লাস করছে অবতার রোবট

আরও পড়ুন: মানুষের DNA ব্যবহার করে বিশ্বের সবথেকে ছোট অ্যান্টেনা বানালেন বিজ্ঞানীরা, চুলের থেকেও ২০,০০০ গুণ ছোট!

আরও পড়ুন: প্রথাগত সিম কার্ডের ধারণা বদলাতে আসছে আইসিম প্রযুক্তি, কী সুবিধা? স্মার্টফোনেরই বা কী পরিবর্তন করবে?

রাস্তাঘাটে শান্তিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য রোবট (Robot) নামল জাপানের রাস্তায়! সে দেশের সিকম নামক এক সিকিওরিটি কোম্পানি এমনই একটি রোবট তৈরি করেছে, যা পাবলিক প্লেসে নিরাপত্তা এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজটি নিশ্চিত করছে। রোবটের নাম কোকোবো (Cocobo)। এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) উপরে ভিত্তি করে কাজ করতে সক্ষম এই রোবট সিকিওরিটি গার্ডের পরিবর্তে টহলদারি ও এলাকা পরিদর্শনের কাজ করছে জাপানে। এই রোবটের সর্বোচ্চ স্পিড ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। ভিজ়ুয়াল, অডিয়ো এবং স্মোক ওয়ার্নিং পর্যন্ত দিতে পারে কোকোবো নামের রোবটটি। বদ মতলবি মানুষ এবং সন্দেহজনক লোকজনকে কাটিংএজ প্রযুক্তির সাহায্য়ে ধরতে পারে রোবটটি।

মানুষের বন্ধুর মতোই কাজ করে কোকোবো

জাপানের প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ডিজাইনবুম-এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, কোকোবো নামের রোবটটি ডেভেলপ করা হয়েছে সিকম-এর ডিজ়াইন ফ্যাক্টরিতে। কোটা নেজ়ু অফ জ়ুঙ্গ ডিজাইন এবং লোফ্টওয়ার্ক-এর সহযোগিতায় এই রোবটটি তৈরি করেছে সিকম। পাবলিক স্পেসের সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং মর্যাদা ও বন্ধুত্বের মতো ধারণাগুলির উপর ফোকাস করে তৈরি করা হয়েছে এই রোবটগুলি, যাতে কোকোবো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দক্ষতার সঙ্গে একত্রিত হতে পারে। কগনিটিভ কোঅপারেশন রোবট থেকেই এই কোকোবো নামটি এসেছে। প্রযুক্তিগত প্রাণী যাতে মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁর দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতা করতে পারে, সেই ভাবনা থেকেই কোকোবো নামটি দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন রোবটের নির্মাতারা।

কী ভাবে কাজ করে

টহলদারির রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চলতে পারে কোকোবো। এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষণটি অনবোর্ড ক্যামেরার সাহায্যে তোলা চিত্রগুলিতে রিয়্যাল-টাইম ভিত্তিতে সঞ্চালিত হয়। নোংরা থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিতক্ত বস্তু পর্যন্ত সনাক্তকরণে সক্ষম এটি। কোকোবো-র সর্বোচ্চ স্পিড হল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার এবং তার পদক্ষেপ ৫০মিমি পর্যন্ত। ওয়াটারপ্রফ এই রোবট আউটডোরে, দুর্গম রাস্তায় ছুটতে পারে। স্বয়ংক্রিয় ভাবেই এটি রাস্তায় বিভিন্ন বাধা চিহ্নিত করতে পারে এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে। টানা ৩ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারে কোকোবো। এছাড়াও এনার্জি লেভেল মনিটর করার মধ্যে দিয়ে এটি প্রয়োজনের সময় নিজে থেকেই চার্জিং স্ট্যান্ড ফিরিয়ে দিতে পারে।

চোর পালানোর চেষ্টা করলে ধোঁয়া নির্গমন করে কোকোবো।

চোর ধরে কী ভাবে

সন্দেহজনক ব্যক্তি চিহ্নিত করতে পারলে অডিয়ো এবং ভিজ়্যুয়াল সতর্কতা দেয় কোকোবো। আবার সেই সন্দেহজনক ব্যক্তির পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এটি ধোঁয়া নির্গত করে তাকে বাধাও দিতে পারে। কোকোবো-র পরিদর্শন কাজের সময়, বিশেষ করে বেঞ্চের নীচে বা ভেন্ডিং মেশিনের পিছনে বা নীচের মতো জায়গাগুলি পরিদর্শনের জন্য একটি বাহু সংযুক্ত করা যেতে পারে যেখানে পৌঁছনো কঠিন। এছাড়াও, কোকোবো-র ক্লাউডে বিভিন্ন ডেটার অ্য়াকসেস রয়েছে। যেমন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ, লিফট, বৈদ্যুতিক লক এবং এলাকার অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কেও একাধিক তথ্য তার নখদর্পণে। মানুষের সহযোগিতায় এই নতুন রোবটটি বড় আকারের নিরাপত্তার ক্রিয়াকলাপে দক্ষ এবং গুণমানের উন্নতি উপলব্ধি করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: ৭ বছরের অসুস্থ বাচ্চার হয়ে স্কুলে ক্লাস করছে অবতার রোবট

আরও পড়ুন: মানুষের DNA ব্যবহার করে বিশ্বের সবথেকে ছোট অ্যান্টেনা বানালেন বিজ্ঞানীরা, চুলের থেকেও ২০,০০০ গুণ ছোট!

আরও পড়ুন: প্রথাগত সিম কার্ডের ধারণা বদলাতে আসছে আইসিম প্রযুক্তি, কী সুবিধা? স্মার্টফোনেরই বা কী পরিবর্তন করবে?

Next Article