Swirling Galaxy: হাব্বল টেলিস্কোপে ধরা পড়ল ঘূর্ণায়মান ছায়াপথের বিস্ময়কর ছবি, মুগ্ধ মহাকাশ প্রেমীরা
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মহাকাশের অসাধারণ সব ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ।
ঘূর্ণায়মান ছায়াপথের এক দারুণ সুন্দর ছবি ধরা পড়েছে নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপে। মার্কিন স্পেস এজেন্সির এই টেলিস্কোপ মাঝে মাঝে মহাকাশের এমন সব ছবি আমাদের চোখের সামনে হাজির যা দেখে শুধুই বিস্ময় জাগে। সেই সঙ্গে কৌতূহল তৈরি হয় সুবিশাল মহাকাশ সম্পর্কেও। এমনই একটি ছবি হল এই ঘূর্ণায়মান ছায়াপথের চিত্র। ইউরোপের স্পেস এজেন্সি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে একটি স্পাইরাল গ্যালাক্সি দেখা গিয়েছে যার নাম NCG ৭৩২৯। ইউরোপের স্পেস এজেন্সিই জানিয়েছে যে হাব্বল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে।
ইনস্টাগ্রামের ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে ঘূর্ণায়মান ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে হলুদ আলো। আর বাইরের স্পাইরাল অংশে রয়েছে নীলচে আভা। বেশ কিছু লাল রঙের ক্লাস্টার বা পুঞ্জীভূত জিনিস এদিক ওদিক ছড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। এই রঙিন ছবি সত্যিই মুগ্ধ করে। তবে এই আলোর খেলা হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে ক্যাপচার করা বেশ জটিল পদ্ধতি। কেবল টেলিস্কোপ তাক করে তার ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তুলে নিলেই হয় না। রয়েছে অনেক নিয়ম নীতিও। এক্ষেত্রে সাধারণত কমার্সিয়াল ক্যামেরার ব্যবহার হয় যা যেকোনও দৃশ্যমান ওয়েভলেংথ অর্থাৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ছবি তুলতে সক্ষম। এর ফলে ক্যামেরায় সর্বোচ্চ পরিমাণ আলো ক্যাপচার করা সম্ভব হয়। আর ছবিটিও একদম আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। তবে হাব্বল টেলিস্কোপ সামান্য অন্যরকম ভাবে কাজ করে।
View this post on Instagram
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মহাকাশের অসাধারণ সব ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ। ৩০ বছরের পুরনো এই দৈত্যাকার টেলিস্কোপে কিছুদিন আগেই ধরা পড়েছিল ‘রানিং ম্যান নেবুলা’- এক নীহারিকা অদ্ভুর সুন্দর ছবি। আসলে Hubble টেলিস্কোপ আসলে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা এবং ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ। ১৯৯০ সালে প্রথম এটি লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি পর্যবেক্ষণ করেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ।
মহাকাশের বিস্তীর্ণ অংশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার মূল হাতিয়ার হল এই স্পেস টেলিস্কোপ। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বিস্ময়কর ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ। জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লব আনতেই এই টেলিস্কোপের উদ্ভাবন হয়েছিল। মহাকাশ, ছায়াপথ, গ্রহ-নক্ষত্র… এইসব প্রসঙ্গে আদি ধারণা পরিবর্তন করে, নতুনভাবে সকলের কৌতূহল নিবারণের জন্যই আবিষ্কার করা হয়েছিল Hubble স্পেস টেলিস্কোপ। মিল্কি ওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছাড়াও মহাকাশে যে আরও অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে সেই ধারণা দিয়েছে নাসার এই Hubble স্পেস টেলিস্কোপ।
আরও পড়ুন- Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালে লঞ্চ হবে ইসরোর গগনযান মিশন, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী