তৃতীয়বার ‘স্পেস মিশন’- এর জন্য যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ভারত ও ফ্রান্স, জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন

ইসরোর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর আগেও মহাকাশ অভিযানে একসঙ্গে কাজ করেছে ইসরো এবং ফ্রান্সের সংস্থা CNES (Centre national d'études spatiales)।

তৃতীয়বার 'স্পেস মিশন'- এর জন্য যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ভারত ও ফ্রান্স, জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন
ইসরো এবং CNES- এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, থার্মাল ইনফ্রারেড ইম্যেজার- এর সাহায্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
Follow Us:
| Updated on: Mar 20, 2021 | 10:27 PM

তৃতীয়বার যৌথ মহাকাশ অভিযানে একসঙ্গে কাজ করবে ভারত এবং ফ্রান্স। ইন্দো-ফ্রান্স এই স্যাটেলাইট মিশনের কথা শনিবার ঘোষণা করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। তিনি বলেছেন, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ফ্রান্স সবসময়ই ভারতের ‘বিগেস্ট পার্টনার’।

অন্যদিকে, ইসরোর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর আগেও মহাকাশ অভিযানে একসঙ্গে কাজ করেছে ইসরো এবং ফ্রান্সের সংস্থা CNES (Centre national d’études spatiales)। ২০১১ সালে লঞ্চ হয়েছিল Megha-Tropiques মিশন। এর দু’বছর পর ২০১৩ সালে লঞ্চ হয়েছিল Saral-Altika। এবার তৃতীয় অভিযানের জন্য তৈরি হচ্ছে দুই দেশ।

ইসরো এবং CNES- এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, থার্মাল ইনফ্রারেড ইম্যেজার- এর সাহায্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এই স্যাটেলাইট মিশনের ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে সম্ভাব্য যতরকম পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলো সফল হয়েছে। আর এই কাজে সাহায্য করেছে তৃষ্ণা উপগ্রহ (TRISHNA- Thermal Infrared Imaging Satellite for High resolution Natural resource Assessment)। আপাতত পরবর্তী পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। সফলভাবে এই স্যাটেলাইট মিশন শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। জোরকদমে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি।

ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন আরও জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট মিশন বা মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনেক যন্ত্রপাতিও পাঠাতে হয় মহাকাশে। সেক্ষেত্রেও আলোচনা শুরু হয়েছে ফ্রান্সের সংস্থা CNES- এর সঙ্গে। মূলত, যৌথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে কোন কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি মহাকাশে পাঠানো যাবে। আর এ ব্যাপারেই ভারতকে সাহায্য করবে ফ্রান্স।

এর পাশাপাশি মানব চালিত মহাকাশ যান পাঠানোর ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে ফরাসি সংস্থা CNES। শুধু তাই নয়, ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে মহাকাশ অভিযানের প্রসার বাড়াতেও উদ্যোগী ফ্রান্স। আগামী দিনে এই দুই দেশের উদ্যোগে স্যাটেলাইট মিশনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশাবাদী জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।