10..9..8.. চন্দ্রযান-3 অভিযানে কাউন্টডাউন করা ISRO-র বিজ্ঞানী এন ভালারমথী প্রয়াত

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Sep 04, 2023 | 12:03 PM

ISRO Scientist N. Valarmathi Passed Away: চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণের সময় যে কাউন্টডাউন শব্দ শোনা গিয়েছিল, তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর বিজ্ঞানী ভালারমাথি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। চন্দ্রযান-3, 14 জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

10..9..8.. চন্দ্রযান-3 অভিযানে কাউন্টডাউন করা ISRO-র বিজ্ঞানী এন ভালারমথী প্রয়াত

Follow Us

চন্দ্রযান-3 হোক বা ইসরো-র কোনও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। সারা বিশ্বের চোখ যখন রকেটের দিকে, তখন কানে আসে একটাই শব্দ। কাউন্টডাউনের শব্দ। সবার চোখ স্থির। আর 10 সেকেন্ড বাকি। সেই থেকে 9,8,7…1 হতেই উৎক্ষেপণ করা হল চন্দ্রযান-3-এর। শ্রীহরিকোটায় রকেট উৎক্ষেপণের কাউন্টডাউনের সময় যে কন্ঠটি শুনতে পেয়েছিলেন, সেটি এক মহিলার। আর সেই কণ্ঠই চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল। চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণের সময় যে কাউন্টডাউন শব্দ শোনা গিয়েছিল, তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর বিজ্ঞানী ভালারমাথি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। চন্দ্রযান-3, 14 জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। 23 আগস্ট, চন্দ্রযান-3 এর ল্যান্ডার মডিউল (LM) চন্দ্র পৃষ্ঠ স্পর্শ করে। এতে বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার ছিল। ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, ভারত পৃথিবীর একমাত্র দেশ হয়ে উঠেছে, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পেরেছে।

ভালরামাথির মৃত্যুতে, ISRO টুইট করে জানিয়েছে, “রকেট উৎক্ষেপণের কাউন্টডাউনের পিছনে আইকনিক মহিলার কণ্ঠটি শ্রীহরিকোটা থেকে যাওয়া ভবিষ্যতের কোনও মিশনে শোনা যাবে না। ভালারমাথি ম্যামের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে, সেই কণ্ঠ চিরকালের জন্য বিবর্ণ হয়ে রইল! শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভালারমাথি ম্যাম।”


টুইট অনুযায়ী, ভালারমাথি তার সহকর্মীদের মধ্যে ‘ম্যাম’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি বহু বছর ধরে ISRO দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ তার স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর ISRO-এর অনেক সফল রকেট উৎক্ষেপণের পথ দেখিয়েছে। তিনি দেশের অনেক মহাকাশ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা চেন্নাইতে, ভালারমাথি ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। আর ভবিষ্যতে সেটা নিয়েই এগতে চেয়েছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে অল্প বয়সে ISRO-তে যোগদান করেন। বছরের পর বছর ধরে, তিনি ISRO-র বিভিন্ন গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

Next Article