ISRO’s Shukrayaan Mission: লক্ষ্য 2024-র ডিসেম্বর, সরকার সবুজ সিগন্যাল না দিলে আরও 7 বছর অপেক্ষা করতে হবে শুক্রযানকে

Shukrayaan Mission: শুক্রযানের যাত্রা শুরু করতে দেরি হতে পারে। সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের ফোকাস এখন গগনযান। যেখানে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

ISRO's Shukrayaan Mission: লক্ষ্য 2024-র ডিসেম্বর, সরকার সবুজ সিগন্যাল না দিলে আরও 7 বছর অপেক্ষা করতে হবে শুক্রযানকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 12:49 PM

Shukrayaan Mission Latest News: শুক্রযানের যাত্রা শুরু করতে দেরি হতে পারে। সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের ফোকাস এখন গগনযান। যেখানে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ISRO বিজ্ঞানীরা তাদের পুরো মনোযোগ গগনযানের উপর রেখেছেন। ISRO এই মিশনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহের মিশনের পর এখন ভারতীয় অন্তরীক্ষ অনুসন্ধান কেন্দ্র ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন শুক্র গ্রহ অভিযান পাঠানোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে। শুক্র গ্রহে নিজস্ব মহাকাশযান পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এই যান শুক্র গ্রহের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে জানার চেষ্টা করবে যে শুক্রের নীচে কি রয়েছে? শুক্রায়নের ধারণা প্রথম এসেছিল 2012 সালে। শুক্রযান মিশনে, ISRO একটি মহাকাশযান তৈরি করবে যা শুক্র গ্রহের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে এবং এটি অধ্যয়ন করবে। এর লঞ্চের তারিখ 2024 সালের ডিসেম্বরে নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু দেরি হবে বলে জানানে হয়েছে।

সম্প্রতি ISRO-এর অধ্যাপক সতীশ ধাওয়ান এবং মহাকাশ বিজ্ঞান প্রোগ্রামের উপদেষ্টা পি শ্রীকুমার বলেছেন যে, ISRO এখনও শুক্রযান সম্পর্কে সরকারের কাছ অনুমোদন পায়নি। তবে যদি শুক্রযানকে 2024 সালের ডিসেম্বরে পাঠানো না হয়, তবে শুক্রযান মিশন 2031 সাল পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।

2031 সালে NASA এবং ESA তাদের মহাকাশযান পাঠাবে। বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে অনুষ্ঠিত একটি ইন্দো-ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানের পি. শ্রীকুমার বলেছেলে, “শুক্রায়ান আদর্শভাবে 2024 সালে চালু করা উচিত। কিন্তু যদি এটি একান্তই সম্ভব না হয়, তাহলে সেটি লঞ্চ হতে 2031 সাল হবে। আমরা সরকারের কাছ থেকে শুক্রযান মিশনের আনুষ্ঠানিক অনুমতি এবং অর্থের জন্য অপেক্ষা করছি। এই মহাকাশযানের পরীক্ষার আগে আপাতত দুটি জিনিসই প্রয়োজনীয়। NASA এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাও 2031 সালে তাদের নিজ নিজ শুক্র মিশনের পরিকল্পনা করেছে। তাদের নাম VERITAS এবং EnVision।”

কোভিডে অনেক মিশনই লঞ্চ হওয়া থেকে পিছিয়ে গিয়েছে। চিন 2026 বা 2027 সালের কোনও এক সময় তাদের শুক্র মিশন চালু করবে। যদিও বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জগতে (International Science World)-এই মিশন সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। ISRO-এর পরিকল্পনা ছিল 2023 সালের মাঝামাঝি সময়ে শুক্রযান উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু কোভিডের কারণে, এই মিশনের প্রবর্তনের তারিখ বাড়িয়ে 2024 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। এর বাইরে ইসরোর আরও দুটি মিশনে দেরি হয়েছে। চন্দ্রযান-3 (Chandrayaan-3) এবং আদিত্য-এল1 (Aditya-L1)-এর লঞ্চও বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে গিয়েছে।