New Galaxies In Universe: মহাকাশের পরিধি কত বড় হতে পারে, তার সঠিক উত্তর বিজ্ঞানীদের কাছেও নেই। এমনকি কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীদের শেয়ার করা এক একটা ছবি বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। তেমনই একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের আবির্ভাবের পর থেকে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের সমস্ত খুঁটিনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এমন একটি ছবি দেখিয়েছে, যাতে এক সঙ্গে 45 হাজার গ্যালাক্সি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মহাবিশ্বের শুরুতে এই ছবিটা এমন ছিল না। নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্য। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা JWST-এর মাধ্যমে নতুন আবিষ্কারটি করেছেন। এটি মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে অনেক কিছু জানাচ্ছে। Space.com-এর মতে , গবেষকের দল আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির 242 তম সভায় প্রকাশ করেছে নতুন তথ্য তুলে ধরেছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা এরকম কিছু গ্যালাক্সি খুঁজে পেয়েছেন, যার অস্তিত্ব মহাবিশ্বের শুরুতে ছিল না।
আবিষ্কারটি অ্যাডভান্সড ডিপ এক্সট্রাগ্যাল্যাকটিক সার্ভে (JADES) প্রোগ্রামের অংশ, যা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দ্বারা করে হয়েছে। আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী মার্সিয়া রাইকের মতে, তারা জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে প্রাচীনতম ছায়াপথগুলির বিবর্তন ঘটেছে। তারা কীভাবে প্রসারিত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই সব কিছুর সন্ধান করতে গিয়েই 45 হাজার গ্যালাক্সির দেখা পেলেন।
এই সময় দলটি 50 মিলিয়ন থেকে 85 মিলিয়ন বছর পুরানো ছায়াপথ খুঁজে পেয়েছেন, যা বিগ ব্যাং (Big Bang)-এর পরে গঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ যখন সমগ্র মহাবিশ্ব গ্যাসে পরিপূর্ণ ছিল। সেই গ্যাস থেকে কোনও কিছুই বের হতে পারেনি, এমনকি অতিবেগুনী এবং এক্স-রেও নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই অনুসন্ধানের সময় 717 টি নতুন ছায়াপথ খুঁজে পেয়েছেন। তারা হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে সেই সব কিছু নিয়ে এখনও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, বিগ ব্যাং-এর পর, গ্যালাক্সিতে নক্ষত্রের সমাবেশ শুরু হয়। এরপরে নতুন নক্ষত্রগুলি খুব দ্রুত তৈরি হতে শুরু করে এবং ছায়াপথগুলি প্রসারিত হতে থাকে। আর সেই থেকেই তৈরি হয় হাজার হাজার ছায়া পথ। মহাকাশের পরিধি নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। যখনই নতুন কিছুর সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা, তখনই তা বিশ্ববাসীর মনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঠিক এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। তবে নতুন এই ছায়াপথগুলি থেকে আরও কোন কোন তথ্য উঠে আসে, সেটাই দেখার।