Second Deepest Blue Hole: বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল পাওয়া গেল মেক্সিকোতে, সামনে আসবে পৃথিবীর অজানা রহস্য?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Apr 25, 2023 | 12:01 PM

Blue Hole Found: মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। চেতুমাল উপসাগরে এই গুহাটি প্রায় 900 ফুট গভীর এবং 147,000 বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

Second Deepest Blue Hole: বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল পাওয়া গেল মেক্সিকোতে, সামনে আসবে পৃথিবীর অজানা রহস্য?

Follow Us

Second Deepest Blue Hole: বিজ্ঞানীদের পক্ষে যে কোনও ব্লু হোল খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর। ব্লু হোলগুলিতে পৌঁছানো সহজ নয়, তাই বিজ্ঞানীরা সেগুলি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাতে পারে না। এতে অক্সিজেন কম থাকে এবং সূর্যের আলোও পৌছায় না। এই অবস্থাতেও বিজ্ঞানীরা হাল ছাড়তে নারাজ। 2016 সালে বিশ্বের গভীরতম ব্লু হোল (Deepest Blue Hole) দক্ষিণ চিন সাগরে পাওয়া গিয়েছিল। যার নাম ড্রাগন হোল। এটিকে 980 ফুটেরও বেশি গভীর বলে মনে করা হয়। তার 7 বছর পরে আবারও নতুন একটি ব্লু হোলের আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। চেতুমাল উপসাগরে এই বিরাট গর্তটি প্রায় 900 ফুট গভীর এবং 147,000 বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই নতুন ব্লু হোলকে কেন্দ্র করে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?

প্রশ্ন হল ব্লু হোল কী?

ব্লু হোল হল সমুদ্রের নীচে পাওয়া বড় সিঙ্কহোল বা বিশাল গর্ত, যা উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে ব্লু হোল বলা হয়। সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোল গুলির গভীরতা অনেক বেশি। ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যালোক পৌঁছয় না। তবুও এতে অনেক প্রবাল, সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং হাঙ্গর সহ উদ্ভিদ এবং সামুদ্রিক জীবন রয়েছে। তারা যেন দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশের সঙ্গে বেশ ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। আকাশ থেকে সমুদ্রে চোখ রাখলেও আলাদা করে ব্লু হোলের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কারণ ওই সামুদ্রিক রন্ধ্রগুলির উপরের জলভাগকে, আশপাশের জলভাগের চেয়ে বেশি নীল দেখায়। বিজ্ঞানীরা তেমনই একটি বিরাট রন্ধ্রের খোঁজ পেলেন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ব্লু হোল। তবে তারা এখনই এই দ্বিতীয় ব্লু হোল নিয়ে তেমন কিছুই জানাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।

সমুদ্রের নীচে ব্লু হোল কীভাবে তৈরি হয়?

সমুদ্রের জল চুনাপাথরের সঙ্গে মিলিত হলে ব্লু হোল তৈরি হয়। চুনাপাথরে অনেক ছিদ্র থাকে। তাই জল সহজেই পাথরের মধ্যে প্রবেশ করে। এতে জলের রাসায়নিকগুলি চুনাপাথরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং এটি ভেঙে যায়। বিশ্বের অনেক ব্লু হোল বরফ যুগে তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে বারবার বন্যা ও নিষ্কাশনের ফলে শিলা ক্ষয় হয় এবং শূন্যতা তৈরি হয়। তখনও সেই সব হোলগুলি এতটাও গভার ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে সমুদ্রের জলের উচ্চতাও বাড়তে শুরু করে। তখন এই পাথরের কাঠামো জলের নীচে ডুবে যায়। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হয় ব্লু হোল।

Next Article