Mummified Squirrel: একটি পশমের বল! বিজ্ঞানীরা বলছেন 30,000 বছর আগের মৃত কাঠবিড়ালি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Apr 12, 2023 | 4:18 PM

30,000 Years Old Mummified Squirrel: অনেক দিন আগে কানাডায় একটি পশমের বলের মতো দেখতে জিনিস পাওয়া গিয়েছিল। আর তা হাতে পেতেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করে।

Mummified Squirrel: একটি পশমের বল! বিজ্ঞানীরা বলছেন 30,000 বছর আগের মৃত কাঠবিড়ালি

Follow Us

Mummified Squirrel Found: প্রকৃতির চারপাশে কতই না প্রাণী রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিবর্তন হয়েছে। আবার অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে কালের নিয়মে। বেশিরভাগ বরফাবৃত দেশ থেকে মাঝেমধ্যেই এমন বহু প্রাচীন দেহাবশেষ মেলে। গবেষণাও চলে বিস্তর। যে কোনও ধরনের মমি বা জীবাশ্ম নিয়ে মানুষেরও আগ্রহের শেষ নেই। আর বিজ্ঞানীরাও একের পর এক গবেষণা জারি রেখেছেন, নতুন নতুন জীবাশ্ম ও তার ইতিহাস অন্বেষণে। অনেক দিন আগে কানাডায় একটি পশমের বলের মতো দেখতে জিনিস পাওয়া গিয়েছিল। আর তা হাতে পেতেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করে। তখনই তারা জানিয়েছিলেন যে, সেই পশমের (Fur) জিনিসটায় নখ সহ আরও অনেক অঙ্গের দেখা মিলেছে। কিন্তু তখনই তাঁরা সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি যে, পশমের বলের মতো দেখতে জিনিসটি আসলে কী। আর সেই থেকে বিজ্ঞানীরা (Scientists) গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন, সেই বলের সত্যতা যাচাইয়ে। আর দীর্ঘ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন যে, পশমের বলটি একটি মমি। আসলে এটি একটি কাঠবিড়ালির মমি (Mummified Squirrel), যা প্রায় 30,000 বছর আগে হাইবারনেশনে মারা গিয়েছিল। ভাবতে পারছেন এত হাজার হাজার বছর পরে নাকি নতুন এক রহস্যের উন্মোচন হল।

এখন প্রশ্ন হল হাইবারনেশন কী?

হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রা হল এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যে অবস্থায় শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অনেক ধীরে হয়। শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। এমনকী শ্বাস-প্রশ্বাসও ধীরে হতে থাকে। আর হৃদস্পন্দন ও বিপাকীয় প্রক্রিয়া ক্রমশ বন্ধ হয়ে যায়। এই ধরনের শারীরিক অবস্থা সাধারণত প্রচন্ড শীতের মাসগুলিতে হয়। আর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কাঠবিড়ালিটির মৃত্যু এভাবেই হয়েছিল।

কীভাবে পাওয়া গিয়েছে 30,000 বছর আগের কাঠবিড়ালির মমিটি?

এই বলের মতো আকৃতি বিশিষ্ট জিনিসটি থেকে বিজ্ঞানীরা আরও অনেক তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই পশম বলটি 2018 সালে কানাডার ইউকন অঞ্চলের ক্লোনডাইক সোনার ক্ষেত্র থেকে খননকারীরা খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন এটি হোয়াইটহরসের ইউকন বেরিংগিয়া ইন্টারপ্রেটিভ সেন্টারে (YBIC)-এ প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে। তাই তার আগে মানুষকে সঠিক তথ্য় দিতে বিজ্ঞানীরা এটিকে পুনরায় মূল্যায়ন করেছেন।

এটি কোন প্রজাতির কাঠবিড়ালি?

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এটি আর্কটিক গ্রাউন্ড প্রজাতির কাঠবিড়ালি। এই প্রজাতিটি সেই এলাকায় পাওয়া যায় যেখানে মমিটি পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা এই কাঠবিড়ালিটির নাম দিয়েছেন ‘হেস্টার’, কারণ এটি হেস্টার নামের একটি জায়গা থেকে পাওয়া গিয়েছে। YBIC এই বিষয়ে বলেছে, “ভাবতেই আশ্চর্যজনক লাগছে যে, এই ছোট্ট কাঠবিড়ালিটি কয়েক হাজার বছর আগে ইউকনের চারপাশে দৌড়াচ্ছিল। এখন সে মমি হিসেবে আমাদের কাছে রয়েছে। তবে এই দুর্দান্ত নমুনাটি শীঘ্রই যাদুঘরে প্রদর্শিত হবে।”

Next Article