Orion Splashdown: সফলভাবেই সম্পন্ন হল NASA-র Artemis 1 মিশন। চাঁদে মানুষ পাঠানোর আগে আমেরিকান স্পেস এজেন্সিটির কাছে এই মিশন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্টেমিস 1 মিশনে নাসা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করার জন্য ওরিয়ন ক্যাপসুলটিকে পাঠিয়েছিল। রবিবার, সেই ওরিয়ন ক্যাপসুলই মেক্সিকোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করেছে। মহাকাশে প্রায় 26 দিন কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছে ওরিয়ন। মজাদার বিষয়টি হল, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় এর গতি ছিল শব্দের চেয়ে 32 গুণ বেশি। যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন, তাঁদের জেনে রাখা উচিত আর্টেমিস মিশন শুধু নাসার জন্য নয়, মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্যও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওরিয়নের এই সফল অবতরণ NASA-র কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার মূল কারণটি হল, 2024 সালে পরবর্তী আর্টেমিস মিশনের বন্দোবস্ত করা। সেই আর্টেমিস 2 মিশনে চাঁদে যাবেন চারজন নভোচারী। এই দলটি অনেক দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হবে। তার কারণ, প্রায় 50 বছর পর মানুষ চাঁদের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে আর্টেমিস 3 মিশনে প্রথম নারী মহাকাশচারী চাঁদে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। এহেন ওরিয়নই মহাকাশে থাকার সময় চাঁদের কিছু আশ্চর্যজনক ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
গত 16 নভেম্বর ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছিস ওরিয়ন মহাকাশযান। পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে এটি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে প্রায় এক সপ্তাহ কাটিয়েছিল। চন্দ্রপৃষ্ঠে দ্বিতীয় এবং শেষবার প্রদক্ষিণ করার সময় ওরিয়নের ক্রু মডিউলের ক্যামেরা বেশ কিছু আশ্চর্যজনক ছবি ধারণ করেছিল। সেই ছবিতে চাঁদের গর্ত স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। তবে, বিজ্ঞানীরা ওরিয়নের সফল এবং নিরাপদ অবতরণ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা জরুরি কোনও অবস্থার মোকাবিলা করার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন।
ওরিয়নের অবতরণকে ‘দর্শনীয়’ এবং ‘প্রায় নিখুঁত’ বলে বর্ণনা করেছে নাসার। মার্কিন স্পেস এজেন্সিটির প্রশাসক বিল নেলসন হিউস্টনে মিশন কন্ট্রোলের কাছে বলেছেন, “আমি অভিভূত।” তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, “এটি একটি অসাধারণ দিন, ঐতিহাসিকও বটে। তার কারণ, এখন আমরা নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদে পৌঁছে যাওয়ার আশায় বুক বাঁধছি।” তবে নাসার এই চন্দ্র মিশনে কোনও মহাকাশচারী জড়িত ছিলেন না। এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের জন্য মোট খরচ হয়েছিল প্রায় 4 বিলিয়ন মার্কিন ডলার।