NASA অনেক সময় এমন কিছু ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে, যা আমাদের অবাক করে দেয়। স্পেস এজেন্সিটি তার নানাবিধ টেলিস্কোপ, স্পেসক্রাফ্ট থেকে তোলা ছবি আমাদের সামনে নিয়ে আসে, যা দেখে আমাদের ভ্রুকুঞ্চিত হয়। আর তা যে হওয়ারই কথা, মহাকাশ যে এখনও আমাদের কাছে অধরা। সেখানে অদেখা অনেক কিছুই থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ আমাদের কাছে এমনই অত্যাশ্চর্য কিছু ছবি নিয়ে এসেছে। এবার NASA শনির একটি অবিশ্বাস্য ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে ধরা পড়েছে গ্রহের আইকনিক বলয়গুলি। স্পেস সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ছবি তোলা হয়েছে তার ক্যাসিনি স্পেসক্রাফ্ট থেকে।
ছবিটি শেয়ার করে NASA লিখছে, “কখনও কখনও শনিকে সৌরজগতের রত্ন বলা হয় তার এই বলয়গুলির জন্য। তবে এই রিংগুলি সৌরজগতের সবথেকে জটিল এবং প্রমিনেন্ট। এই রিংগুলিকে ধূমকেতু, গ্রহাণু বা চাঁদের টুকরো বলেও মনে করা হয়, যা এই বিশাল গ্যাস গ্রহটির মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা বিচ্ছিন্ন।”
2012 সালে আমেরিকান স্পেস এজেন্সির ক্যাসিনি স্পেসক্রাফ্ট এই ছবিটি তুলে নিয়ে এসেছিল। মহাকাশযানটি তার ছায়ায় থাকার সময় শনির এই মহিমান্বিত দৃশ্যটি ক্যাপচার করেছিল। NASA বলছে, স্পেসক্রাফ্টের ক্যামেরাগুলি শনি এবং সূর্যের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রহ এবং তার রিংগুলি ব্যাকলাইটে থাকে। ছবিটি ইনফ্রারেড, লাল এবং বেগুনি বর্ণালী ফিল্টার ব্যবহার করে তোলা হয়েছিল যা এই এনহ্যান্সড-কালার ভিউ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল, বলে যোগ করেছে মহাকাশ সংস্থাটি।
গত শুক্রবার আশ্চর্যজনক ছবিটি শেয়ার করেছিল নাসা। তারপর থেকে সেই পোস্টে লাইক পড়েছে 1.5 মিলিয়নেরও বেশি, হাজার-হাজার মানুষ কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ এই ছবিটিকে ‘অবাস্তব’ বলেছেন, কেউ আবার বলেছেন, ‘চমৎকার’।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মহাকাশ খুবই আকর্ষণীয়, আরও যে কত কী অবাক করার মতো বিষয় রয়েছে সেখানে, তার ইয়ত্তা নেই।” “একটি অসাধারণ মহাজাগতিক ফটোগ্রাফ দেখলাম,” অন্য একজন বলেন। তৃতীয়জন যোগ করলেন, “যতক্ষণ না নিজের চোখে দেখছি, ততক্ষণ শনির সব ছবিই আমার কাছে যেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি করা। কী অদ্ভুত, অত্যাশ্চর্য দেখতে একটা গ্রহ।”
এদিকে 2017 সালের 15 সেপ্টেম্বর ক্যাসিনি মহাকাশযানটি তার ছায়াপথকে বিদায় জানায়। প্রসঙ্গত, 1997 সালে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং ইতালীয় স্পেস এজেন্সির তরফে The probe নামক একটি যৌথ প্রচেষ্টার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই মিশনে আরও কিছু রিংযুক্ত গ্রহ ও তাদের অভূতপূর্ব চেহারা সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পেরেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।