Exoplanets News: পৃথিবীর বাইরেও কি প্রাণ আছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছেন বহুবার। আর শুধু তাই নয়, টেলিস্কোপের কোটরে চোখ রেখে নিরন্তর এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। যে কোনও গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া বিজ্ঞানীদের কাছে বিরাট বড় আবিষ্কার। তার সেই মতোই অনেকবারই বিভিন্ন সব গ্রহের আবিষ্কার করেছেন। এবারও সেই রকমই কিছু ঘটল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার TESS মহাকাশযান দু’টি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছে। যেখানে প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা জানাচ্ছেন। মানুষ ভবিষ্যতে সেখানে বসবাস করতে পারে। কারণ এই দু’টি গ্রহই সূর্যের খুব কাছে রয়েছে। এই দুটি গ্রহই সুপার আর্থ (Super Earth)। অর্থাৎ উভয়ই আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে বড়। টেস মহাকাশযান অর্থাৎ ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট মহাকাশযানটি সৌরজগৎ থেকে 137 আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহ দু’টি আবিষ্কার করেছে।
গ্রহ দু’টির নাম কী?
এই দু’টি গ্রহের নাম হল TOI-2095b এবং TOI-2095c। বর্তমানে তাদের নিয়ে আরও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। TOI-2095b গ্রহ থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থান করছে। এই গ্রহে প্রাণের বিকাশ ঘটতে পারে। এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে 1.39 গুণ প্রশস্ত। কিন্তু এর ওজন পৃথিবীর চেয়ে 4.1 গুণ বেশি।
দ্বিতীয় গ্রহ TOI-2095c সূর্য থেকে সামান্য দূরে রয়েছে। এর একদিন পৃথিবীর 28.2 দিনের সমান। মানে এই গ্রহের 24 ঘন্টা পৃথিবীর 28.2 দিনের সমান। এটি পৃথিবীর চেয়ে 1.33 গুণ বড়। ওজন 7.5 গুণ বেশি। উভয় গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রাই 24 থেকে 74 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
কীভাবে এই গ্রহ দু’টির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা?
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার TESS মহাকাশযানটি আলোর দ্বারা এই দু’টি গ্রহকে খুঁজে পেয়েছে। প্রতিটি গ্রহ ও নক্ষত্র আলো নির্গত করে। আর সেই আলোকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানীরা সন্ধান করেছেন এই দুই নতুন গ্রহের। TOI-2095b গ্রহটি প্রচুর পরিমাণে অতিবেগুনী এবং এক্স-রে তরঙ্গ নির্গত করে। বিজ্ঞানীদের মতে, TOI-2095b থেকে নির্গত বিকিরণ কাছাকাছি যে কোনও গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে ধ্বংস করতে পারে।