NASA News: পৃথিবীর উপর কোনও রকম বিপদের আশঙ্কা এলেই NASA-র তরফে সতর্কতা জারি করা হয়। সেই মতোই পৃথিবীর দিকে 2টি গ্রহাণু দ্রুত গতিতে এগচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। NASA এর মতে, পৃথিবী 4.5 বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল। কিন্তু পৃথিবী গঠনের সময় কিছু শিলাও সৌরজগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। যাদের নাম দেওয়া হয়েছে গ্রহাণু। এই গ্রহাণুগুলি সূর্যের চারপাশে ক্রমাগত ঘোরে। অর্থাৎ অন্য সব গ্রহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একই কক্ষপথে ঘোরে। তবে তাদের একবার ঘুরতে 1000 বছরেরও বেশি সময় লাগে। যখন নিজেদের কক্ষপথ থেকে সরে যায়, তখন তারা গ্রহের দিকে এগিয়ে আসে। যেহেতু পৃথিবীর চারপাশে থাকে, তাই পৃথিবীর দিকেই ধেয়ে আসে। গ্রহাণু খনিজ দিয়ে তৈরি বড় শিলা। যখন তারা পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে শুরু করে, নাসা তাদের ট্র্যাক করে এবং সতর্কতা জারি করে।
মহাকাশ সংস্থা NASA এমনই 2টি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছে। NASA-র মতে দু’দিন পর পৃথিবীর দিকে আসতে চলেছে বড় দুই গ্রহাণু। এমন পরিস্থিতিতে, আগামী তিন দিন পৃথিবীর জন্য খুবই সঙ্কটজনক। দু’টি গ্রহাণুর মধ্য়ে একটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগবে। ফলে তার পরিণাম কী হতে পারে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা থাকে না। গ্রহাণু দু’টি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কী জানাচ্ছেন?
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি(JPL) যে কোনও ধরনের গ্রহাণুকে ট্র্যাক করে। JPL-এর তথ্য অনুযায়ী, 7 জুন দু’টি গ্রহাণু পৃথিবীর অনেক কাছে এসেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারে। এর মধ্যে একটি হল গ্রহাণু 2017 UJ2, যা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এটি একটি 7.3 ফুট শিলা। এর আকার খুবই ছোট, যা একটি ছোট গাড়ির মতো। এটি 2,020,000 কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ তার আকারের চেয়ে হাজার গুণ বেশি। ফলে ছোট গ্রহাণুগুলিকে খুব সহজেই পৃথিবী নিজের দিকে টেনে নিতে পারে। তবে পৃথিবীর সঙ্গে এর বিরাট কোনও সংঘর্ষ হবে না বলেই জানিয়েছে NASA। এর গতি প্রতি ঘন্টায় 20,261 কিলোমিটার।
এখানেই শেষ নয়, এখনও আরও একটি গ্রহাণু বাকি আছে। NASA জানিয়েছে, গ্রহাণু 2018 KRও পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে। এর আয়তন 60 ফুট। এটি 24.7 লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় 17544 কিলোমিটার। এটি 1913 সালের 28 ডিসেম্বর পৃথিবীর কাছকাছি এসেছিল। তারপরে প্রায় 110 বছর পর আবারও 18 হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসছে। কিন্তু এটি পৃথিবীর বেশি কাছে আসবে না বলেই জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। কিন্তু এর গতি যদি বাড়তে থাকে, তবে পৃথিবীর গা ঘেঁষে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পৃথিবীর উপর কী প্রভাব পড়ে সেটাই দেখার।