Oldest Cemetery In South Africa: বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন নতুন আবিষ্কার দিয়ে বিশ্ববাসীকে হকচকিত করে। এমন অনেক কিছু সন্ধান পান, যা দেখে চোখ কপালে ওঠা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার জীবাশ্মবিদরা বিশ্বের প্রাচীনতম কবরস্থানের সন্ধান পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি প্রাচীনতম কবরস্থান। যেখানে মানুষদের কবর দেওয়া হত। কিন্তু এই কবরস্থান নিয়ে বিশেষ কিছু অজানা তথ্য উঠে এসেছে। সেই সব তথ্য জীবাশ্মবিদদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আবিষ্কার করা এই কবরস্থানে এমন মানুষদের কবর দেওয়া হত যাদের মস্তিষ্ক ছোট ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, “যে সব মানুষ নির্বোধ ছিল, অর্থাৎ যাদের দিয়ে কঠিন কাজ করানো যেত না, তাদের এখানে কবর দেওয়া হত।” বিখ্যাত জীবাশ্মবিদ লি বার্গারের নেতৃত্বে এই আবিষ্কার সম্পন্ন হয়েছে। গবেষকরা জোহানেসবার্গে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের কাছে এই কবরস্থান পেয়েছেন, আর তা দেখেই তাঁরা অবাক। এই সমাধিস্থলটি প্রস্তর যুগের মানুষের তৈরি।
কবরস্থানটি সম্পর্কে আর কী জানা গিয়েছে?
কবরস্থানটি এমন একটি গুহার ভিতরে পাওয়া গিয়েছে, যেখানে মানুষ প্রস্তর যুগে বাস করত। এটি প্রায় 30 মিটার বা 100 ফুট মাটির নিচে রয়েছে। গবেষণাটি এখনও প্রকাশিত হয়নি এবং আগামী দিনে E-Life-এ প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই কবরস্থানটি অন্তত এক মিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিল। সেখানে পাওয়া কিছু নথি থেকে এই সময়কাল জানা গিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাতেও পাওয়া গিয়েছে:
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় মানবজাতির প্রাচীনতম কবরস্থান পাওয়া গিয়েছে। সেটিও প্রায় এক লাখ বছরের পুরনো। তবে বিজ্ঞানী বার্গারের এই গবেষণা প্রায়ই বিতর্কের মুখে পড়েছে। তিনি সম্প্রতি জানান, এটি 200,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছিল। যেখানে প্রথম হোমো নালেদি নামে এক মানুষকে রাখা হয়। হোমো নালেডি ছিল মানব সভ্যতার রূপ, যে বনমানুষ এবং আধুনিক মানুষের মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছিল। কথিত আছে, তার মস্তিষ্কের আকার কমলালেবুর সমান ছিল। তাদের দৈর্ঘ্যও ছিল প্রায় 1.5 মিটার অর্থাৎ মাত্র 5 ফুট। 2013 সালে, বার্জারই হোমো নালেডি আবিষ্কার করেছিলেন। প্রজাতিটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রাইজিং স্টার’ গুহা থেকে, যেখানে 2013 সালে প্রথম মানুষের হাড় পাওয়া গিয়েছিল। স্মিথসোনিয়ানস হিউম্যান অরিজিনস প্রোগ্রামের পরিচালক রিক পটস বলেন, “আরও অনেক কিছু জানা এখনও বাকি আছে।” যদিও তিনি এই গবেষণার অংশ ছিলেন না।