Kepler-385: মহাবিশ্বের আরও এক নতুন রহস্য উন্মোচিত হয়ে চলেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছেও এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না যে, পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণ আছে কি না। ফলে কৌতূহল আরও বেড়েই চলেছে। তবে এবার NASA-র ‘অবসরপ্রাপ্ত’ কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ সাতটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, টেলিস্কোপটিকে অবসরপ্রাপ্তের তালিকায় ফেলা হচ্ছে কেন? আসলে 15 নভেম্বর, 2018-তে NASA সিদ্ধান্ত নেয় এটিকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বের করে আনা হবে। টেলিস্কোপটি 2009 সালের মার্চ মাসে চালু হওয়ার পর থেকে মাত্র নয় বছরের কম সময়ে 2,600টিরও বেশি গ্রহ আবিষ্কার করেছে। এবার সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়ল। কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ যে সাতটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে। এককথায় যাকে বলে প্ল্যানেট সিস্টেম বা গ্রহমণ্ডল। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, প্ল্যানেট সিস্টেম বা গ্রহমণ্ডলের প্রতিটি গ্রহ সৌরজগতের অন্য যে কোনও গ্রহের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল, এমনকি অনেক বেশি তাপ গ্রহণ করে।
টেলিস্কোপের নজরে আস্ত গ্রহমণ্ডল…
এই প্ল্যানেট সিস্টেম বা গ্রহমণ্ডলের নাম কেপলার-385 (Kepler-385)। এই সিস্টেমের বিশেষত্ব হল, এর সাতটি গ্রহই পৃথিবীর চেয়ে বড়। তবে নেপচুনের চেয়ে ছোট। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা বিজ্ঞানী জ্যাক লিসাউয়ার বলেন, “টেলিস্কোপে ধরা পড়া সম্ভাব্য গ্রহ, যার অস্তিত্ব এখনও প্রমাণিত হয়নি। অন্য দুটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পর তাদের গ্রহ হিসাবে নিশ্চিত করা হবে।”
Seven new planets orbiting a distant star have been revealed in a review of @NASAExoplanets data by our retired Kepler Space Telescope: https://t.co/vnJIAkBmjw
All the planets in the system, named Kepler-385, are larger than Earth and smaller than Neptune, and are scorched by… pic.twitter.com/HmJIqBFh5h
— NASA (@NASA) November 2, 2023
গ্রহমণ্ডলের কেন্দ্রে সূর্যের থেকেও বিরাট নক্ষত্র…
কেপলার-385 প্ল্যানেট সিস্টেম বা গ্রহমণ্ডলের কেন্দ্রে একটি সূর্যের থেকেও বিরাট নক্ষত্র রয়েছে। এটি সূর্যের চেয়ে প্রায় 10 শতাংশ বড় এবং 5 শতাংশ বেশি গরম। এর সবচেয়ে কাছে থাকা দু’টি গ্রহ পৃথিবীর থেকে সামান্য বড় এবং সম্ভবত পাথর দিয়ে তৈরি। তাদের মধ্যেই একটি গ্রহে বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। বাকি পাঁচটি গ্রহ আকারে অনেক বড়। প্রতিটির ব্যাসার্ধ পৃথিবীর আকারের প্রায় দ্বিগুণ এবং ঘন বায়ুমণ্ডলে আবৃত বলেই আশা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।