New Scientific Study: পরিবেশ দূষণকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানীরা (Scientists) একের পর এক সতর্ক বার্তা দিয়ে চলেছেন। আর যে হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, তাতে পরিবেশ দূষনকে আটকে রাখা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মানুষ যত উন্নত হচ্ছে, ততই পরিবেশের অবস্থা খারাপ রূপ ধারণ করছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে বায়ু দূষণের (Air Pollution) মাত্রা। বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাসীয় ও সূক্ষ্ম ধূলিকণা মানুষের শ্বাস ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসটি মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে, রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বক্সিল হিমোগ্লোবিন গঠন করে। ফলে মানুষের রক্তে অক্সিজেন বহন করার জন্য প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার শরীরে হাড়ের ক্ষয় হয়, বায়ু দূষনের ফলে। নতুন এক গবেষণায় এমনই ভীতিকর বিষয় সামনে এসেছে। অর্থাৎ আপনি যত বেশি বায়ু দূষণযুক্ত শহর বা এলাকায় বাস করবেন, আপনার হাড় তত বেশি দুর্বল হবে। অস্টিওপোরোসিসের মতো দুরারোগ্য রোগ বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে। হাড় এতটাই ভঙ্গুর হয়ে যাবে যে, সামান্য আঘাতেই তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যত বেশি দূষণের মাত্রা বাড়বে, মহিলাদের হাড় ততই দুর্বল হতে থাকবে। নিউইয়র্ক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্য়াল বিজ্ঞানী দিদিয়ের প্রাদা বলেছেন, “একজন ব্যক্তির হাড়ের শক্তি শুধুমাত্র তার খাদ্যের উপর নির্ভর করে না। বরং সে কোথায় থাকে, আবহাওয়া কেমন, দূষণ কত, এই কারণগুলিরও একটি বড় অবদান রয়েছে। যেসব শহরে বায়ু দূষণ বেশি, সেখানে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেশি।”
প্রাদার গবেষণা অনুসারে, “নাইট্রোজেনের সঙ্গে যুক্ত দূষণকারী উপাদানগুলি মানুষের মেরুদণ্ডের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বায়ু দূষণের কারণে গত তিন বছরে মেরুদণ্ডের সমস্যা 10 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরুদণ্ড খনিজ পদার্থের ঘনত্ব 1.22 শতাংশ কমেছে। বায়ু দূষণের কারণে হাড়ের কোষ দ্রুত মরতে শুরু করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, যার কারণে বিষাক্ত উপাদানগুলি হাড়ের মধ্যে দ্রবীভূত হতে শুরু করে।” কিন্তু দিদিয়ের প্রাদার দল প্রথমবারের মতো প্রমাণ পেয়েছে যে, নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে মেরুদণ্ডের হাড়সহ শরীরের অন্যান্য হাড়ের অনেক ক্ষতি হয়।