Modern Plants Farming In Ghaziabad: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার মানবসমাজের কাছে আশীর্বাদ না অভিশাপ, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। প্রযুক্তির ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তাতে এর প্রভাব যে শুধু কলকারখানা আর শিল্পক্ষেত্রেই পড়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। সব কিছুতেই এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে বর্তমান সময়ে। দৈনন্দিন কাজ যেমন সহজ হচ্ছে, তেমনই মানুষের কাজ ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ যখন তখন ছিনিয়ে নিতে পারে প্রযুক্তি, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এবার প্রযুক্তির বিরাট প্রভাব দেখা দিতে চলেছে কৃষিক্ষেত্রেও। চাষাবাদ ও কৃষকের নাম শুনলেই আপনার মনে নিশ্চয়ই একটা ছবি ফুটে ওঠে, একজন সাধারণ পোশাকে লাঙ্গল দিয়ে ক্ষেত চষে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দিচ্ছেন। তার শরীর থেকে অনবরত ঘাম ঝরছে। ফসল ফলাতে দিনরাত নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোথায় সেই লাঙ্গল? তার জায়গায় রয়েছে ট্রাক্টর। সময় অনেক বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে পরিশ্রম করার উপায়ও। তবে এবার আর এই সব কিছুরও প্রয়োজন পড়বে না। তার বদলে চলবে ‘আধুনিক কৃষিকাজ’। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদে শুরু হয়েছে এই আধুনিক কৃষিকাজ। এই চাষের মাধ্যমে বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা তৈরি পর্যন্ত সমস্ত কাজ হবে মেশিনের মাধ্যমে। কেবল একটি বোতাম টিপেই সম্পন্ন হবে গোটা প্রক্রিয়া। খবরটি সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে জানতে উৎসুক সকলে। কীভাবে এই কাজ হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গাজিয়াবাদে এই আধুনিক কৃষিকাজের জন্য একটি নার্সারি তৈরি করা হয়েছে। সেটি নার্সারিটি হাই-টেক নার্সারি বা সেন্টার অফ এক্সিলেন্স নামেও পরিচিত। সরকারিভাবেই তৈরি হয়েছে নার্সারিটি। তার জন্য এক কোটি চার লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই উচ্চ প্রযুক্তির নার্সারিতে ফ্যাব্রিকেশন, সিডার এবং অন্যান্য জিনিস রয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। কারণ এখন থেকে কৃষকরা কম সময়ে বেশি ফসল পাবেন।
গাজিয়াবাদে আধুনিক চাষের প্রয়োজন কেন?
গাজিয়াবাদে আধুনিক কৃষির বিরাট প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নার্সারির প্রধান। গাজিয়াবাদের কৃষিকাজ, দিল্লি-এনসিআর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রযুক্তির মূল ফোকাস হবে সবজির চাহিদা বৃদ্ধি। তবে ফলের গাছের চাহিদাও বাড়ানো যেতে পারে। এই প্রযুক্তি বিদেশের। হাইটেক নার্সারিতে পলিহাউস তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে তাপমাত্রা বাইরের চেয়ে 10 ডিগ্রি কম থাকবে। এতে যে কোনও গাছ খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারবে। এই পলিহাউসের ভিতরে চারা লাগানো হবে। আর বাইরে রয়েছে একটি সুইচ, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। সেই সুইচ টিপলেই দ্রুত বেড়ে উঠবে গাছের চারা।
কৃষকরা বিরাট খরচ থেকে রেহাই পাবেন:
অনেক কৃষক আছেন, যারা চাষাবাদ বাড়াতে চান। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জমি পান না। এমনকী কিনতেও পারেন না। তাদেরকেও সুযোগ দেওয়া হবে। কেউ চাষ করতে চাইলে তাদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। কৃষকরা তাদের বীজ নার্সারিতে দেবে। সেখানে সেই বীজ বপন করা হবে। এরপর হাইটেক নার্সারিতে তাদের সব গাছপালা প্রস্তুত করা হবে। প্রস্তুত হওয়ার পর এই গাছগুলি কৃষকদের কাছে মাত্র এক টাকায় বিক্রি করা হবে।