Latest Science News: দিল্লির এনসিআর-এ দেখা মিলল লাল মাথা শকুনের (Red Headed Vulture)। দৃশ্যটি খুবই অস্বাভাবিক। প্রায় ছয় বছর পর দিল্লিতে দেখা দিয়েছে এই বিরল লাল মাথাওয়ালা শকুন। বিরল এই পাখিটির দেখা মিলেছে আশালা ভাট্টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে (Asola Bhatti Wildlife Sanctuary)। 2017 সালের পর প্রথমবারের মতো দিল্লির ভাট্টি খনি এলাকায় লাল মাথার শকুন দেখা গিয়েছে। এটি 20 জানুয়ারি আসালা ভাট্টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে দেখা গিয়েছিল। একই সপ্তাহে গুরুগ্রামের চান্দু বুধেরায় বিরল একটি কালো শকুনের দেখা মিলেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিশালাকার স্ক্যাভেঞ্জার পাখির বিশেষত্ব।
বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে একটি শীতকালীন রেপ্টার নিয়ে গবেষণা করছিল। সেই সময় দেখা গিয়েছে এই লাল মাথাওয়ালা শকুন। লাল মাথার শকুনটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN) এর ক্রিটিক্যালি এন্ডেঞ্জার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখন এটি সারা বিশ্বে 10 হাজারেরও কম সংখ্য়ায় রয়েছে। আশালা ভাট্টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ম্য়ানেজার সোহেল মদন জানান, এর আগে 2017 সালে এখানে এই পাখি দেখা গিয়েছিল। চলতি বছরের শীতকালে আবার র্যাপ্টর সার্ভে শুরু হতেই লাল মাথাওয়ালা শকুন দেখা গেল। তবে 2017 সালের পর ন্য়াশনাল ক্য়াপিটাল অঞ্চল মঙ্গর বাণী এলাকায় দুবার দেখা গিয়েছে।
সোহেল বলেন, এনসিআর এলাকায় ছয় বছর পর এই বিরল পাখির দেখা মিলল। এই পাখি অনেক ধরনের আবাসস্থলে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু ভারতে তাদের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। এটিকে স্ক্যাভেঞ্জার পাখিদের রাজা বলা হয়। এরা মৃত জীব খেয়ে বেঁচে থাকে। দেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের 13টি রাজ্যে শকুনের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা চলছে। তাদের সংখ্যা কমছে বলে ইতিমধ্যে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এর কারণ ডাইক্লোফেনাক নামের ওষুধটি। এটি পাখিদের জন্য বিষাক্ত। এই কারণেই 2006 সালে পশুচিকিত্সকরা এই ওষুধটি নিষিদ্ধ করেছিলেন। এটি ছাড়াও আরও কিছু ওষুধ রয়েছে, যার খারাপ প্রভাব রয়েছে বিজ্ঞানীরা উপর। যেমন- Aceclofenac, Nimuslide এবং Ketoprofen। শকুনের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন ওষুধও রয়েছে। তা হল মেলোজিকাম এবং টলফিনামিক অ্যাসিড।
সোহেল জানান, বর্তমানে বেশিরভাগ মিশরীয় শকুন দেখা যায় আসালায়। সোহেল বলেন, “শীতকালে প্রতি বছর ভারতে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই পাখিগুলি সমুদ্র পেরিয়ে কিংবা সুবিশাল কোনও পার্বত্য এলাকা পেরিয়ে ভারতে আসে। শুধু এই প্রজাতি নয়, আমাদের অন্যান্য প্রজাতির শকুনকেও বাঁচাতে হবে। তাদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি 2017 সালে শকুনের জনসংখ্যা জানতে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে। এই সমীক্ষা অনুসারে, দেশটিতে বিপন্ন মিশরীয় শকুন, গ্রেটার স্পটেড ঈগল, প্যালিড হ্যারিয়ার এবং উত্তর গোশকের মতো পাখিও দেখা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত 70টি সমীক্ষা করা হয়েছে।”