AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফসল ফলাতে লাগবে না জমির মাটি, পুষ্টি ভরা ‘ইলেকট্রিক মাটি’ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা

Electronic Soil: আগামী প্রজন্মকে যাতে খাদ্য সংকটে পড়তে না হয়, সেই জন্য নতুন একটি গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তারপরেই তাঁরা তৈরি করেছেন 'ইলেকট্রনিক সয়েল' (বৈদ্যুতিক মাটি)। এটি এক ধরনের সাবস্ট্রেট, যাকে বলা হচ্ছে 'ই-সয়েল'। বিজ্ঞানীদের দাবি, যখন 'যব'-এর মতো গাছগুলি সাবস্ট্রেটে ফলানো হয়, তখন তাদের বৃদ্ধি 15 দিনের মধ্যে 50 শতাংশের বেশি হয়।

ফসল ফলাতে লাগবে না জমির মাটি, পুষ্টি ভরা 'ইলেকট্রিক মাটি' তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
| Updated on: Dec 29, 2023 | 4:15 PM
Share

সারা বিশ্বে জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা থাকে না। অনুর্বর জমির পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ফসল উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে যাতে খাদ্য সংকটে পড়তে না হয়, সেই জন্য নতুন একটি গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তারপরেই তাঁরা তৈরি করেছেন ‘ইলেকট্রনিক সয়েল’ (বৈদ্যুতিক মাটি)। এটি এক ধরনের সাবস্ট্রেট, যাকে বলা হচ্ছে ‘ই-সয়েল’। বিজ্ঞানীদের দাবি, যখন ‘যব’-এর মতো গাছগুলি সাবস্ট্রেটে ফলানো হয়, তখন তাদের বৃদ্ধি 15 দিনের মধ্যে 50 শতাংশের বেশি হয়।

কী এই ‘সাবস্ট্রেট’?

এটি এক ধরনের হাইড্রোপনিক চাষ, যেখানে মাটি ছাড়াই গাছপালা বেড়ে ওঠে। আর সেই সব গাছ বেড়ে ওঠার জন্য জল, খনিজ পদার্থ এবং একটি স্তর প্রয়োজন। আর সেই ভাবেই তাদের শিকড় শক্ত হয়।

কীভাবে ফসল ফলানো হচ্ছে?

বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি ‘সাবস্ট্রেট’ ইলেকট্রনিকভাবে উদ্ভিদের শিকড়কে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে, যাতে তারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সুইডেনের লিংকোপিং ইউনিভার্সিটি এই গবেষণা করেছে। NDTV-র প্রতিবেদন অনুযায়ী , বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাও রয়েছে। বর্তমান কৃষি পদ্ধতি দিয়ে বিশ্বের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই এই উপায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতেও শহুরে পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করা যায়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেও একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানীরা সেখানে অনেক ধরনের ফসল ফলিয়েছিলেন।

দ্রুত ফলছে ফসল…

‘জার্নাল প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস’- এ ইলেকট্রনিক মাটি সংক্রান্ত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিদ্যুতের সাহায্যে গাছের শিকড় 15 দিনে 50 শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই ধরনের চাষ বন্ধ জায়গায় করা যেতে পারে।