Railway: ট্রেনে কখনও ‘লোডশেডিং’ হয় না কেন? কীভাবে বিদ্যুৎ পায় ইঞ্জিন
Railway: রেল সূত্রে জানা যায়, যে সব ট্রেন বিদ্যুতে চলে সেগুলির জন্য ২৫,০০০ ভোল্টেজের (25KV) প্রয়োজন হয়। এই কারেন্ট ইঞ্জিনের উপরে থাকা একটি প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে ইঞ্জিনে পৌঁছয়।
নয়া দিল্লি: আগের তুলনায় ট্রেনের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রেল বদলেছে অনেকটাই। বর্তমানে বেশিরভাগ ট্রেনই বিদ্যুতে চলে। ট্রেনের গতিও আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। আরও বাড়ানো যায় কীভাবে, সেই চেষ্টাও চলছে। আপনারা যাঁরা প্রতিদিন কোনও না কোনও কারণে ট্রেনে যাত্রা করেন, তাঁরা ভেবে দেখেছেন কেন ট্রেনে সরবরাহ করা বিদ্যুৎ কখনও বন্ধ হয় না? ট্রেন যখন দীর্ঘ রুটে চলে তখন ইঞ্জিন কোথা থেকে শক্তি পায়?
রেল সূত্রে জানা যায়, যে সব ট্রেন বিদ্যুতে চলে সেগুলির জন্য ২৫,০০০ ভোল্টেজের (25KV) প্রয়োজন হয়। এই কারেন্ট ইঞ্জিনের উপরে থাকা একটি প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে ইঞ্জিনে পৌঁছয়। প্যান্টোগ্রাফটি ট্রেনের উপরে লাগানো তারের সঙ্গে ঘষে চলে। এই তারের মাধ্যমে ট্রেনে বিদ্যুৎ পৌঁছয়।
বৈদ্যুতিক ট্রেনে দুই ধরনের প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ ট্রেনে উচ্চগতির প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। ওভারহেড তার থেকে প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে ২৫,০০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ পৌঁছয় বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের মূল ট্রান্সফরমারে, আর সেটাই ইঞ্জিন সচল করতে সাহায্য করে।
যখন একটি ট্রেন একটি রেলওয়ে ট্র্যাকের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এটিতে ভার বাড়ে ফলে ধাতব ট্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত স্প্রিংটি সংকুচিত হয়। এই কারণে, র্যাক অ্যান্ড পিনিয়ন মেকানিজম এবং চেইন ড্রাইভে একটি গতি শুরু হয়। এই গতি যখন ফ্লাইহুইল, রেকটিফায়ার এবং ডিসি মোটরের মধ্য দিয়ে যায় তখন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
রেল সরাসরি পাওয়ার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গ্রিড সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে সাব স্টেশনে পাঠানো হয়। সাব স্টেশন থেকে সরাসরি ১৩২কেভি সরবরাহ হ. রেলে। OHE তে যায় ২৫ কেভি। রেল স্টেশনের পাশেই বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলো দেখা যায়। সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে এখানে কোনও সমস্যা হয় না।