কয়েক মিনিটেই সব শেষ! বর্ধমানে আগুনে পুড়ে মরে গেল প্রায় ৫ হাজার মুরগি
Burdwan: পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বাসুদেব চক্রবর্তী বলেন, “ফার্মের যে শেডে আগুন লেগেছে সেখানে প্রায় ২০ হাজার মুরগির ছানা ছিল। কমপক্ষে ৫ হাজার মুরগি আগুনে ঝলসে মারা গিয়েছে। ওদের বয়স এখন মাত্র ১ মাসের কাছাকাছি।”
বর্ধমান: পোলট্রি ফার্মে ভয়াবহ আগুন। আগুনে ঝলসে মারা গেল প্রায় ৫ হাজার মুরগি। পিকনিকের মরসুমে মাথায় হাত মালিকের। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ওড়গ্রাম জঙ্গলে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ ফার্মে আগুন জ্বলতে দেখেন এক ফার্মেরই এক কর্মী। দ্রুত খবর দেন মালিক, ডেকে আনেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরাই একযোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু, আগুন এত সহজে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষে খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভাতার দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
তবে ফার্মের মালিক বলছেন, আগুন নেভার আগেই ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দমকল কর্মীরা মনে করছেন, শর্ট-সার্কিটের ফলেই এই আগুন লেগেছে। পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বাসুদেব চক্রবর্তী বলেন, “ফার্মের যে শেডে আগুন লেগেছে সেখানে প্রায় ২০ হাজার মুরগির ছানা ছিল। কমপক্ষে ৫ হাজার মুরগি আগুনে ঝলসে মারা গিয়েছে। ওদের বয়স এখন মাত্র ১ মাসের কাছাকাছি।”
এই খবরটিও পড়ুন
আগুনের কারণে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন বাসুদেববাবু। কিন্তু, কীভাবে হল শর্ট-সার্কিট? বাসুদেববাবু বলছেন, শীতের সময় মুরগির বাচ্চাদের গরম রাখতে ১০০ ওয়াটের বাল্ব ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে বাল্ব ফেটে গিয়ে শর্ট-সার্কিটের ফলে আগুন লেগে গিয়ে থাকতে পারে। তবে শুধু আগুনে ঝলসে মৃত্যুই নয়, পোড়া গন্ধেও মুরগিরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।