Exomoon: সৌরজগতের বাইরে ‘সুপারমুন’ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, প্রদক্ষিণ করছে বৃহস্পতির সমান আকারের গ্রহকে

নতুন করে এই সুপার মুন আবিষ্কারের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে হয়তো একাধিক চাঁদ রয়েছে। সেগুলো শুধু আবিষ্কার হতে বাকি রয়েছে।

Exomoon: সৌরজগতের বাইরে 'সুপারমুন' আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, প্রদক্ষিণ করছে বৃহস্পতির সমান আকারের গ্রহকে
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 6:07 PM

এতদিনে ১০ হাজারেরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এরা সকলেই আমাদের সৌর জগতের বাইরে (Outer Solar System) অবস্থিত। কিন্তু এতদিনে এমন কোনও এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার হয়নি যাদের চারপাশে কোনও চাঁদ প্রদক্ষিণ করেছে। তবে সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণা সম্ভবত এই ধারণা বদলাতে চলেছে। আর এই ধারণা পরিবর্তনে কারণ হল সম্প্রতি আবিষ্কৃত হওয়া একটি নতুন মহাজাগতিক বস্তু। সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষকরা জানিয়েছেন আমাদের সোলার সিস্টেম বা সৌর জগতের বাইরে এক্কটি বিশাল আকার-আয়তনের চাঁদ আবিষ্কার করা হয়েছে যা একটি গ্রহকে প্রদক্ষণ করছে। এই ম্যাসিভ বা সুপার মুন (massive or Super Moon) যে এক্সোপ্ল্যানেটকে প্রদক্ষিণ করছে তা আকার-আয়তনে বৃহস্পতি অর্থাৎ সৌর জগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের প্রায় সমান। বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে প্রাথমিক তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত হলে এটিই হবে সৌর জগতের বাইরে অবস্থিত প্রথম আবিষ্কার হওয়া এক্সোমুন (Exomoon)

চার বছর আগে আরও একটি মহাজাগতিক বস্তু এই সৌর মণ্ডলের বাইরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ‘এক্সোমুন’- এর খেতাব পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ওই মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যেও। তবে এখনও পর্যন্ত ওই মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে গবেষণা চলছে। তাই তাকে এক্সোমুন বলে ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তুটির ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হতে চলেছে। বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে, এই দুই মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে একাধিক বৈশিষ্ট্যের মিল রয়েছে। এমনকি একই গ্রহকে প্রদক্ষিণও করে তারা। তবে দ্বিতীয় আবিষ্কৃত সুপার মুন পূর্বের মহাজাগতিক বস্তুর তুলনায় আকার-আয়তনে সামান্য ছোট। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দুই মহাজাগতিক বস্তুই তৈরি হয়েছে গ্যাসীয় উপাদানের সাহায্যে। একসময় এরা নিজেরাই গ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে পার্শ্ববর্তে তুলনায় বড় গ্রহের কক্ষপথে স্থান হয়ে তাদের। ওইসব গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করে তারা।

সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কৃত নতুন বস্তুটি যে এক্সোপ্ল্যানেটের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে সেটি হল Kepler 1708b। এই এক্সোপ্ল্যানেট পৃথিবী থেকে ৫৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে তেমনটাই বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে বিজ্ঞানীরা নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ নিয়ে ৭০টি দৈত্যাকার গ্যাসীয় অবয়বের দিকে নজর রাখছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে মাত্র একটিই মহাজাগতিক বস্তুকে এক্সোমুন হিসেবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর তুলনায় এই এক্সোমুন আয়তনে প্রায় ২.৬ গুণ।

নতুন করে এই সুপার মুন আবিষ্কারের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে হয়তো একাধিক চাঁদ রয়েছে। সেগুলো শুধু আবিষ্কার হতে বাকি রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আরও অনুমান, পৃথিবী থেকে বহু দূরে অবস্থিত এইসব সুপার মুন বা এক্সোমুন আমাদের চাঁদের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। তবে সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে, যেসব চাঁদ আকার-আয়তনে যত বড়, তার হদিশ পাওয়া ততই সহজ। এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ‘এক্সোমুন’ হতে চলেছে এমন হিসেবে যে দু’তি মহাজাগতিক বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলো তাদের হোস্ট স্টারের থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। আর তাই বর্তমানের কক্ষপথ এইসব বস্তু সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

আরও পড়ুন- Asteroid Bigger Than Burj Khalifa: বুর্জ খলিফার তুলনায় বড় আকারের গ্রহাণু ধাবিত হবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে!