মহাকাশ থেকে গভীর সমুদ্র, বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার চলে সর্বত্র। আর সেই আবিষ্কার থেকেই উঠে আসে অবাক করা কিছু তথ্য। কখনও কখনও বিজ্ঞানীরা এমন কিছুর মুখোমুখি হন, যা তাদের ঘুম কেড়ে নেয়। সমুদ্রের গভীরে এমন অনেক প্রাণী বাস করে, যাদের সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ তথ্য পাননি। তবে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন, যাকে ‘সমুদ্রের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী’ বলা হচ্ছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে একজন মহিলার নামে, নিজের স্বামীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেন?
LadBible নামে একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে এক নারীর নামে, যিনি রাগের কারণে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছিলেন। মহিলার নাম লরেনা ববিট। তাই এই প্রাণীর নামও রাখা হয়েছে ববিট ওয়ার্ম (Bobbit Worm)। যদিও এই প্রাণীটিকে স্যান্ড-স্ট্রাইকারও বলা হয়, এটির একটি বৈজ্ঞানিক নামও রয়েছে। তা হল ইউনিস অ্যাফ্রোডিটোইস।
এই অদ্ভুত প্রাণীটি দেখতে কেমন?
এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটি দেখতে একটি সাপ এবং একটি সেন্টিপিডের মধ্যে মিশ্রণের মতো। এটি আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরের মতো উষ্ণ সমুদ্রের জলে পাওয়া যায়। দেখতে ছোট হলেও এই ভয়ঙ্কর শিকারী প্রাণীটি তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। যাতে অন্য কোনও প্রাণী তাকে দেখতে না পায়, তাই এক রহস্যময় উপায়ে এর বিশাল আকারের চেহারা লুকিয়ে রাখে। সামুদ্রিক প্রাণীদের শিকার করার জন্য, এটি নিজেকে সমুদ্রের পৃষ্ঠে এমনভাবে লুকিয়ে রাখে, যাতে মাছগুলি তাকে দেখতে না পায়। তারপরে সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে উঠে এসে দ্রুত তাদের শিকার করে।
কতটা বিপজ্জনক এই সামুদ্রিক প্রাণী?
এই প্রাণীটি দেখতে কিছুটা সামুদ্রিক শৈবালের মতো। তবে খুব মারাত্মক। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি যদি একজনকে কামড়ায়, তবে তাকে পঙ্গু করে দিতে পারে। এই প্রাণীটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর চোখ নেই, তবুও এটি তার শিকারকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য করতে পারে। এছাড়াও, ববিট ওয়ার্ম নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এমনকি যদি তাদের টুকরো টুকরো করা হয়, তারা তাদের সেই আহত শরীরের অংশগুলিকে জোড়া লাগিয়ে নিতে পারে।