AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyborg Time Traveller: 30 বছরের মধ্যেই ধ্বংস হবে পৃথিবী! অ্যাপোক্যালিপস সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করতে 2050 সালের ‘সাইবর্গ টাইম ট্রাভেলারের’ আগমন

স্ব-ঘোষিত সাইবর্গ টাইম ট্রাভেলার দাবি করে বসলেন যে, 2050 সালের মধ্যেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। সে সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষজনকে সতর্ক করতে 2050 সাল থেকে তাকে এই সময়ে পাঠানো হয়েছে বলেও যোগ করেছেন তিনি।

Cyborg Time Traveller: 30 বছরের মধ্যেই ধ্বংস হবে পৃথিবী! অ্যাপোক্যালিপস সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করতে 2050 সালের 'সাইবর্গ টাইম ট্রাভেলারের' আগমন
ওরিন নামের ওই সাইবর্গ টাইম ট্রাভেলার।
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 5:49 PM
Share

Time Traveller Sent From 2050: সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত যাঁরা, সুখবর রয়েছে তাঁদের জন্য। ম্যাট্রিক্স ছবিগুলিতে আমরা যেমনটা দেখতে অভ্যস্ত, বাস্তবেও হয়তো সেই জগতের খুব কাছাকাছিই চলে এসেছি। আমরা এমন দাবি করছি না। দাবি করছেন এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে 2050 সালের স্ব-ঘোষিত সাইবর্গ টাইম ট্রাভেলার বলছেন। ওরিন নামের সেই ব্যক্তিটি সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “একটি ম্যাট্রিক্স আছে। আর আমাদের অস্তিত্ব অনেকটাই দ্য ম্যাট্রিক্স ছবির মতোই। এই সবই আসলে একটি সিমুলেশন।”

এই সব শোনার পর আপনি যদি খুব বিভ্রান্ত হন, তাহলে চলুন 2020 সালে ঘুরে আসি। সে বছর এক মার্কিন চ্যাট শো’য়ের হোস্ট ডক্টর ফিলের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ওরিন। নিজেকে 2050 সালের টাইম ট্রাভেলার আখ্যা দিয়ে লাইভ শো’তেই সকলের উপহাসের পাত্র হয়েছিলেন তিনি। ডক্টর ফিলকে তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বের শেষ সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করতেই তাঁকে ভবিষ্যত থেকে বর্তমানে পাঠানো হয়েছে।

ওরিনের মতে, 2050 সালে যখন হলোকাস্ট আসবে তখন এই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। এই সময় সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে বলে আরও দাবি করেন তিনি। বহু মানুষ ওরিনের এহেন দাবিকে অবিশ্বাস করা এবং সর্বোপরি তাঁকে উপহাসের পাত্র হিসেবে গণ্য করায় তিনি বেজায় চটেছিলেন। সেই হতাশা থেকে তিনি অ্যাপেক্স টিভি নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানও সেই একই দাবিগুলির পুনরাবৃত্তি করেন ওরিন।

ওরিনকে মূলত যে প্রশ্নগুলি সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সেগুলি হল “সত্যিই কি ম্যাট্রিক্স বলে কিছু আছে?” “কর্পোরেট কেন আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে?” এবং সর্বোপরি “মানবতা কীভাবে ম্যাট্রিক্স থেকে পালাতে পারে?” অ্যাপেক্স টিভি হল এমনই একটা স্টেশন, যা প্রায়শই এমন কিছু ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্যযুক্ত করে যাঁদের ভবিষ্যতের বলে চিহ্নিত করা হয়।

এই সব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিয়ে ওরিন বলেন, “আমাদের একটি কর্পোরেশন দ্বারা নিচে রাখা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “বাণিজ্যিক চক্রান্ত এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে তাঁরা আমাদের ঘৃণা করার জন্য প্রতারণা করছে এবং লিঙ্গ, বর্ণ, যৌন অভিযোজন, পরিচয় এবং পছন্দের লাইনে আমাদের বিভক্তও করছে।” তাঁর আরো বক্তব্য, “আমরা একটি সম্মিলিত চেতনা এবং 2050 সালে আসন্ন আর্মাগেডন থেকে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেওয়া আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব।”

তবে নজর ঘোরানোর মতো বিষয়টি হল, এই ওরিনই যখন 2020 সালে ডক্টর ফিলের কাছে এহেন অদ্ভুত দাবিটি করেছিলেন তখন তিনি হাসিখোরাকির পাত্র হন, কিন্তু পরে অ্যাপেক্স টিভিকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, আন্তর্জাতিক বাজারে রীতিমতো খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

এখন এই বিশ্ব যখন অনেক সংকটের সম্মুখীন, অতিমারি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব, এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদ্বেগ পর্যন্ত, তাঁর প্রায় সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণীগুলিই পুনরুত্থিত হয়েছে। সেই সময় ওরিন ও সর্বোপরি তাঁর দাবিকে বেশিরভাগ মানুষই প্রত্যাখ্যান করলেও আজ তাঁর দাবিকে মান্যতা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই।