এ যাবৎকালে সূর্যের (Sun) সবথেকে কাছাকাছি ছবিটি উঠে গেল। গত ২৬ মার্চ ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সোলার অরবিটার এখনও পর্যন্ত সবথেকে কাছাকাছি অবস্থান থেকে সূর্যকে ফ্রেমবন্দি করতে পেরেছে। এর আগে সূর্যের এত পরিষ্কার এবং ক্লোজ় ছবি কখনই ওঠেনি। সোলার অরবিটারটি (Solar Orbiter) এই মুহূর্তে রয়েছে সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধের কক্ষপথের মধ্যে। দূরত্বের হিসেবে তার অবস্থান সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের এক তৃতীয়াংশ দূরে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, যত কাছাকাছি যাওয়া যাবে, ততই ভাল ভাবে কাজ করবে মহাকাশযানের রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি। অরবিটারটি সূর্যের মেরুপ্রদেশে একটি রহস্যময় বিষয়ও আবিষ্কার করেছে, বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন ‘হেজহগ’ (Hedgehog)। এই হেজহগের ছবিটি তোলা হয়েছে এক্সট্রিম আল্ট্রা-ভায়োলেট ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে। হেজহগের শিখা সূর্য থেকে অন্তত ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু এটি সূর্যের বায়ুমণ্ডলে কীভাবে তৈরি হয়, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ আলোকপাত করতে পারেননি।
এত কাছ থেকে সূর্যের ছবি তোলার বিষয়ে ইউআই-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ডেভিড বার্গম্যানস বলছেন, “ছবিগুলো এককথায় রোমহর্ষক। আর এই ছবিগুলি নিয়েই বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। কারণ, এটি সূর্য থেকে প্রায় ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। এর মধ্যে গরম ও ঠান্ডা গ্যাসের প্রচুর স্পাইক রয়েছে, যেগুলি সমস্ত দিকেই পৌঁছতে পারে।” সমগ্র প্রক্রিয়াটিই চলেছে পৃথিবীর ব্যাসের দ্বিগুণ এবং সূর্যের ব্যাসের ১.৪ মিলিয়ন কিলোমিটারের একটি ছোট ভগ্নাংশ জুড়ে।
এদিকে আবার অরবিটারটি সূর্যের খুব কাছ থেকে যাওয়ার সময় প্রায় আগুনের লাইনেই ছিল। আর তার অন্যতম কারণ হল এটি সৌর শিখা এবং করোনাল ভর নির্গমণ চাক্ষুষ করতে পারে। তার সেই দর্শন থেকেই জানা গিয়েছে, সেটি পৃথিবীর দিকে পরিচালিত হয়েছিল এবং পৃথিবীতে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়েরও সূত্রপাত করেছিল। এর ফলেই রেডিও ব্ল্যাকআউট দেখা গিয়েছিল।
অন্য দিকে চলতি বছরের ২ মার্চ এই সোলার অফবিটারটিই মহাকাশযানে থাকা এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট ইমেজার এবং এক্স-রে স্পেক্ট্রোমিটার বা টেলিস্কোপ যন্ত্রগুলি সূর্যের এক্কেবারে মুখের দিকে একটি সক্রিয় অঞ্চল থেকে বিস্ফেরিত হওয়া সৌরশিখার ছবি নিতে সক্ষম হয়েছিল। তার ঠিক এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে না হতেই ১০ মার্চ মহাকাশযানটি একটি করোনাল মাস ইজেকশন দ্বারা আঘাত করে, যার দ্বারা এটি সৌরবায়ুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়ে যায়। শুধু তাই নয়। পরবর্তীতে এটি কখন পৃথিবীতে আঘাত হানবে তারও ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হয়। এই অনবদ্য অভিজ্ঞতা সোলার অরবিটারটিকে রিয়্যাল-টাইম ভিত্তিতে পৃথিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতোই কাজ করেছে।
এরপর কী হতে চলেছে, স্বাভাবিক ভাবে সেই প্রশ্নটা আসা খুবই সঙ্গত। এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভাল যে, সোলার অরবিটারটি আগের থেকে তার গন্তব্যের আরও কাছাকাছি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ১৩ অক্টোবর অনেকটাই কাছের পেরিহিলিয়ন পাসের জন্য মহাকাশযানটি নিজেকে সারিবদ্ধ করে মহাকাশের মধ্যে দিয়ো দৌড়চ্ছে। আর এই ভাবে পাসিংয়ের সময় প্রোবটি পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ০.২৯ গুণ হতে চলেছে।
এ যাবৎকালে সূর্যের (Sun) সবথেকে কাছাকাছি ছবিটি উঠে গেল। গত ২৬ মার্চ ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সোলার অরবিটার এখনও পর্যন্ত সবথেকে কাছাকাছি অবস্থান থেকে সূর্যকে ফ্রেমবন্দি করতে পেরেছে। এর আগে সূর্যের এত পরিষ্কার এবং ক্লোজ় ছবি কখনই ওঠেনি। সোলার অরবিটারটি (Solar Orbiter) এই মুহূর্তে রয়েছে সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধের কক্ষপথের মধ্যে। দূরত্বের হিসেবে তার অবস্থান সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের এক তৃতীয়াংশ দূরে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, যত কাছাকাছি যাওয়া যাবে, ততই ভাল ভাবে কাজ করবে মহাকাশযানের রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি। অরবিটারটি সূর্যের মেরুপ্রদেশে একটি রহস্যময় বিষয়ও আবিষ্কার করেছে, বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন ‘হেজহগ’ (Hedgehog)। এই হেজহগের ছবিটি তোলা হয়েছে এক্সট্রিম আল্ট্রা-ভায়োলেট ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে। হেজহগের শিখা সূর্য থেকে অন্তত ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু এটি সূর্যের বায়ুমণ্ডলে কীভাবে তৈরি হয়, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ আলোকপাত করতে পারেননি।
এত কাছ থেকে সূর্যের ছবি তোলার বিষয়ে ইউআই-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ডেভিড বার্গম্যানস বলছেন, “ছবিগুলো এককথায় রোমহর্ষক। আর এই ছবিগুলি নিয়েই বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। কারণ, এটি সূর্য থেকে প্রায় ২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। এর মধ্যে গরম ও ঠান্ডা গ্যাসের প্রচুর স্পাইক রয়েছে, যেগুলি সমস্ত দিকেই পৌঁছতে পারে।” সমগ্র প্রক্রিয়াটিই চলেছে পৃথিবীর ব্যাসের দ্বিগুণ এবং সূর্যের ব্যাসের ১.৪ মিলিয়ন কিলোমিটারের একটি ছোট ভগ্নাংশ জুড়ে।
এদিকে আবার অরবিটারটি সূর্যের খুব কাছ থেকে যাওয়ার সময় প্রায় আগুনের লাইনেই ছিল। আর তার অন্যতম কারণ হল এটি সৌর শিখা এবং করোনাল ভর নির্গমণ চাক্ষুষ করতে পারে। তার সেই দর্শন থেকেই জানা গিয়েছে, সেটি পৃথিবীর দিকে পরিচালিত হয়েছিল এবং পৃথিবীতে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়েরও সূত্রপাত করেছিল। এর ফলেই রেডিও ব্ল্যাকআউট দেখা গিয়েছিল।
অন্য দিকে চলতি বছরের ২ মার্চ এই সোলার অফবিটারটিই মহাকাশযানে থাকা এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট ইমেজার এবং এক্স-রে স্পেক্ট্রোমিটার বা টেলিস্কোপ যন্ত্রগুলি সূর্যের এক্কেবারে মুখের দিকে একটি সক্রিয় অঞ্চল থেকে বিস্ফেরিত হওয়া সৌরশিখার ছবি নিতে সক্ষম হয়েছিল। তার ঠিক এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে না হতেই ১০ মার্চ মহাকাশযানটি একটি করোনাল মাস ইজেকশন দ্বারা আঘাত করে, যার দ্বারা এটি সৌরবায়ুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়ে যায়। শুধু তাই নয়। পরবর্তীতে এটি কখন পৃথিবীতে আঘাত হানবে তারও ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হয়। এই অনবদ্য অভিজ্ঞতা সোলার অরবিটারটিকে রিয়্যাল-টাইম ভিত্তিতে পৃথিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতোই কাজ করেছে।
এরপর কী হতে চলেছে, স্বাভাবিক ভাবে সেই প্রশ্নটা আসা খুবই সঙ্গত। এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভাল যে, সোলার অরবিটারটি আগের থেকে তার গন্তব্যের আরও কাছাকাছি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ১৩ অক্টোবর অনেকটাই কাছের পেরিহিলিয়ন পাসের জন্য মহাকাশযানটি নিজেকে সারিবদ্ধ করে মহাকাশের মধ্যে দিয়ো দৌড়চ্ছে। আর এই ভাবে পাসিংয়ের সময় প্রোবটি পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ০.২৯ গুণ হতে চলেছে।