Static Shock In Human Body: দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সঙ্গে এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা আমরা অনুভব করি, কিন্তু কখনও গুরুত্ব দিয়ে ভাবি না। ঠিক তেমনই একটা ঘটনা বোধহয় আপনার সঙ্গেও ঘটেছে। খেয়াল করে দেখবেন, অনেক সময়ই আপনি বাড়িতে বা অফিসে কাজ করার সময় কেউ যদি হঠাৎ করে আপনাকে স্পর্শ করেন, তখন কীরকম যেন বৈদ্যুতিক প্রবাহের মতো মনে হয়। তাই না? কেমন যেন মনে হয়, ইলেকট্রিক শক খেলেন! কিন্তু কখনও কি জানার চেষ্টা করেছেন, কেন এমনটা হয় আপনাক সঙ্গে?
কেউ ছুঁয়ে দিলে এমনটা হয় কেন?
আমাদের প্রতিটি শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মতোই এর পিছনেও রয়েছে একটি বিজ্ঞান। কেউ হুট করে এসে আপনাকে ছুঁয়ে দিলে ইলেকট্রিক শকের মতো অনুভব করার বিষয়টি বেশি করে শীতকালেই ঘটে থাকে। তবে সবসময় যে এমনটা হয়, তা নয়। কিছু কিছু সময় মনে হয়, কেউ যেন সূচ ফুটিয়ে দিল। আসলে এর পিছনে রয়েছে আমাদের দেহের কিছু বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ বা ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি (Electrical Activity), যা আমাদের স্নায়ুতে সব সময় ঘটে চলেছে।
শরীরে কারেন্ট লাগে কেন?
আচম্বিতে কেউ যখন অন্য কাউকে এভাবে ছুঁয়ে দেন, তখন শরীরে যে ইলেকট্রিক শক অনুভূত হয়, তাকে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি (Static Electricity) বলে। এর পিছনে রয়েছে খুব সাধারণ একটি বিজ্ঞান। আসলে, ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা গঠিত হয় একটি পরমাণু। এটি তাদের সুষম শক্তি (Balanced Energy), যার মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। যদি এই ভারসাম্য না থাকে বা সেখানে যদি অতিরিক্ত ইলেকট্রন থাকে, তাহলে পারমাণবিক শক্তি নেতিবাচকভাবে চার্জ হতে শুরু করে। এখন ইলেকট্রনের এই ক্ষয় আমাদের শরীরকে আকস্মিক ধাক্কা দেয়, যা মূলত ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় বেশি করে হতে দেখা যায়। তার কারণ আদ্রতার ফলে তাদের চার্জ করার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় হয়।
এমনতর কাঁপুনি থামাতে কী করণীয়?
আমরা যখন একটি ধাতব দরজা বা গাড়ির দরজা স্পর্শ করি, তখন অতিরিক্ত ইলেকট্রন খুব দ্রুত আমাদের শরীর থেকে ছেড়ে যেতে শুরু করে। সেই কারণেই আমরা ইলেকট্রিক শক অনুভব করি। এর পাশাপাশি নাইলন বা পলিয়েস্টারের মতো ফাইবারও আমাদের ইলেকট্রিক শক দেয়। তবে এই শক কমাতে পারে বেকি সোডা। এছাড়া ময়েশ্চারাইজ়েশনের মাধ্যমেও এই কাঁপুনি কমতে পারে।