World’s Fastest Moving Ant: অলিম্পিকে জামাইকান দৌড়বিদ উসেইন বোল্টের দৌড় দেখেছেন? উনি বিশ্বের দ্রুততম মানুষ। বোল্ট প্র্যাকটিস করেন চিতাবাঘের সঙ্গে। আর দ্রুতগতির প্রাণীদের প্রসঙ্গ আসলে আপনার প্রথমেই চিতার কথা মাথায় আসবে। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয়, বিশ্বের দ্রুততম (World’s Fastest) গতির প্রাণী হল পিঁপড়ে (Ant)। তবে তা কি আপনার বিশ্বাস হবে? তাহলে এই তথ্য আপনার জন্য। বিজ্ঞানীরা সাহারায় রুপোলি রঙের একটি পিঁপড়ের হাঁটার গতি মেপে দেখেছেন। এরা ঘণ্টায় 400 মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। যেখানে চিতার গতি ঘণ্টায় মাত্র 70 মাইল। এই পিঁপড়ের নাম সাহারান সিলভার অ্যান্ট (Saharan Silver Ant)। জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টেড বায়োলজিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শুধু পিঁপড়েদের মধ্যেই নয়, পতঙ্গদের মধ্যেও সবচেয়ে দ্রুতগামী সাহারান সিলভার অ্যান্ট। অবাক লাগছে তো?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে 12000 প্রজাতির পিঁপড়ে রয়েছে। এই রূপালী রঙের সিলভার অ্যান্ট তাদের সবার মধ্যে দ্রুততম। গতির দিক থেকে, রূপালী পিঁপড়ের চেয়ে এগিয়ে আছে মাত্র দুটি প্রাণী। একটি হল অস্ট্রেলিয়ার বিটল প্রজাতির টাইগার বিটল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় মাইট। সিলভার অ্যান্টরা প্রতি সেকেন্ডে তার শরীরের দৈর্ঘ্যের চেয়ে 108 গুণ বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে।
জার্মানির উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Germany’s University of Ulm) অধ্যাপক হ্যারাল্ড উলফ (Harald Wolf) এবং তার সহকর্মীরা সাহারার রূপালী পিঁপড়ে নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন। প্রফেসর হ্যারাল্ড বলেন, “আমরা জানতাম যে, এই প্রজাতিটি খুব দ্রুত, কিন্তু আমরা জানতাম না তাদের গতি কত। এই কারণেই আমরা এই গবেষণাটি করেছি। এই পিঁপড়ের গতি আমাদের অবাক করেছে। তাদের পা খুব ছোট, তবুও এই 6 পায়ের প্রাণীটি এত দ্রুত যেতে পারে তা আমরা আশা করিনি। তাই আমাদের অবাক লাগছে।”
সাহারান সিলভার অ্যান্ট 60 ডিগ্রি তাপমাত্রায় বালির উপর চলে:
সিলভার পিঁপড়া কেন এত দ্রুত চলে তা এখনও জানা যায়নি। সাহারা সিলভার এন্টের উপর এই গবেষণাটি ‘এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, এই সাহারান পিঁপড়ে বালিতে হাঁটে যেখানে দিনের তাপমাত্রা 60 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। গবেষকরা প্রথমে মনে করেছিলেন, রূপালী পিঁপড়ের এই গতি বালির 60 ডিগ্রি তাপমাত্রায় কারণে নয়। তাই তাঁরা পিঁপড়েগুলিকে ল্যাবে নিয়ে এসে 10 ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছেড়ে দেন। তখন তাঁরা দেখেন তাদের গতি একইরকম রয়েছে। অর্থাৎ তাদের গতি তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। অধ্যাপক হ্যারাল্ড উলফ জানান, তাদের শরীরের গড়ন এমন, যাতে তারা দ্রুত চলাফেরা করতে পারে। গায়ের রং-এর কারণে তাদের শরীরও তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় না।