2.6 Billion Year Old Water: অবাক জলপান! 260 কোটি বছরের পুরনো ‘পরিশুদ্ধ’ জল পান করে চলেছেন এই বিজ্ঞানী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Feb 20, 2023 | 11:47 PM

Science News: এমন এক বিজ্ঞানীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যিনি 260 কোটি বছর আগের জল পান করে চলেছেন। কেমন স্বাদ সেই জলের, তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

2.6 Billion Year Old Water: অবাক জলপান! 260 কোটি বছরের পুরনো পরিশুদ্ধ জল পান করে চলেছেন এই বিজ্ঞানী
প্রফেসর বারবারা শেরউড লোলার ও তাঁর সেই বু পুরাতন জল।

Follow Us

আচ্ছা, আপনাকে যদি মাত্র কয়েক দিনের পুরনো জল পান করতে বলা হয়। করবেন? এক সপ্তাহ কোথাও বেরিয়ে আসার পর বাড়িতে ফিরে বোতল থেকে পুরনো জলটা পান করবেন? এসবের উত্তর নিশ্চয়ই না হবে। যদি করতেও বলা হয় বা কোনও উপায় না থাকে, তাহলে দূষণের কারণে সেই জলটা সামান্য ফুটিয়ে নিয়ে তারপর খাবেন। কী, তাই তো? এমনটা কিন্তু না-ও হতে পারে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে স্থির থাকা জল পান করা আমাদের চিরাচরিত দূষণের নিয়মে না-ও পড়তে পারে। হেঁয়ালি মনে হচ্ছে? নাকি ছোট বেলার সেই অবাক জলপান আপনার কাছে অন্য আঙ্গিকে উপস্থিত হল মনে হচ্ছে?

একটা বিষয় আমরা সবাই প্রায় জানি যে, জলের প্রতিটি ফোঁটাই কোনও না কোনও ভাবে পুনর্ব্যবহৃত। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা টাটকা এবং পুরনো জলের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের একপ্রকার বিভ্রান্ত করেছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। লক্ষাধিক বছর বা তার বেশি বছরের পুরনো জলও আমাদের জন্য ভাল হতে পারে, তা ফুটিয়ে পান করার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই। বিষয়টা ঠিক কী?

2013 সালে একদল বিজ্ঞানী কানাডিয়ান খনিতে পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় 1.5 মাইল নীচে জলের পকেট আবিষ্কার করেছিলেন। সেই জল হাজার হাজার বছর ধরে কেউই স্পর্শ করেননি। এবং সেটি একপ্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থাতেই ছিল।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, টিমিন্স, অন্টারিওতে জল একটি গ্রানাইট-সদৃশ পাথরের মধ্যে পাতলা ফিসারে আটকে ছিল। বিজ্ঞানীরা সেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে এলাকাটি সম্পর্কে ভাল করে স্টাডি করে জলের বয়স নির্ধারণ করতে সক্ষম হন। সেখান থেকেই তাঁরা জানতে পারেন, সেই জলের বয়স 2.6 বিলিয়ন বছর বা প্রায় 260 কোটি বছর।

ওই গবেষণার মূল গবেষক প্রফেসর বারবারা শেরউড লোলার (Barbara Sherwood Lollar) তারপর অভাবনীয় কাজটি করে ফেলেছিলেন। তিনি জলটি পান করে দেখেন। আর সেই কয়েক হাজার বছরের পুরনো জলের স্বাদ আস্বাদন করার পরেই বলে ওঠেন, মোটেই একটা সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না।

লস অ্যাঞ্জেলস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে লোলার ওই তরলের স্বাদটিকে ‘নোনতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি এই জলকে সান্দ্র এবং হাল্কা ম্যাপেল সিরাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

তাঁর কথায়, “জল এবং পাথরের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি অত্যন্ত নোনতা। কলের জলের তুলনায় এর সান্দ্রতা অনেক বেশি। এর সঙ্গে পাতলা ম্যাপেল সিরাপেরও অনেক মিল রয়েছে। এই জল যখন মুক্তি পায় তখন এর কোনও রং থাকে না। তবে যখন এটি অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, তখন কমলা রঙে পরিণত হয়। কারণ, এতে থাকা খনিজগুলি তৈরি হতে শুরু করে।”

Next Article