নক্ষত্রে ভরা আকাশে কখন কোন নক্ষত্রে গায়েব হয়ে যায়, তা সাধারণ মানুষ টের না পেলেও, সেই খবর থাকে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে। এমনকি তার পিছনের কারণ জানার জন্যও রাতের ঘুম ওড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এবার এমনই একটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটল তারার সমাবেশ বা নক্ষত্রপুঞ্জে। হঠাৎ উধাও হল তিনটি তারা। না, মেঘে ঢেকে নেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ দিয়ে বেশ কয়েকদিন লক্ষ্য করেও খুঁজে পেলেন না তিনটি তারাকে। কিন্তু কেন এমন হল? এর পিছনের কারণ কী? কোন রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রায় 71 বছর আগে, 1952 সালের জুলাই মাসে, পালোমার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানীরা আকাশের ছবি তুলছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল গ্রহাণু এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তু সম্পর্কে তথ্য পাওয়া। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তুলছিলেন, হঠাৎ কিছু একটা ঘটল, যা তাঁদের অবাক করে দিল। হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল তিনটি তারা।
71 বছর আগের ঘটনা…
1952 সালের জুলাই মাস। সেই রাতে প্রায় 8:52 নাগাদ ফটোগ্রাফিক প্লেটে তিনটি তারার উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছিল। এই তিনটি তারা একে অপরের অনেক কাছাকাছি ছিল। এমনকি উজ্জ্বলতাও অন্য সব তারাদের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। কিন্তু মাত্র 53 মিনিট পর অর্থাৎ রাত 9.45 মিনিটে যখন আকাশের সেই জায়গার ছবি তোলা হয়, তখন সব একই থাকলেও থাকে না ওই তিনটি তারা। চারিদিক খুঁজে বেরানো হল তাদের। টেলিস্কোপ দিয়ে এদিক থেকে ওদিক। কিন্তু না, তারা নিখোঁজই রয়ে গেল।
অদৃশ্য হওয়ার কারণ খোঁজা হচ্ছে নতুন করে…
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতে পারে তিনটি তারা সেখানেই আছে। শুধু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হতে পারে টেলিস্কোপে ধরা দিচ্ছে না তারা। তারও একটি কারণ আছে। আবার এমনও হতে পারে, তারাগুলির উজ্জ্বলতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে টেলিস্কোপের ক্যামেরাগুলি তাদের ক্যাপচার করতে পারেনি। চলতি সপ্তাহে, একটি নতুন গবেষকের দল 70 বছর আগের এই তারার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে কিছু ব্যাখ্য দিয়েছেন। যদিও এই কারণ স্পষ্ট নয়। অদৃশ্য হওয়ার পিছনে এখনও যথার্থ কোনও কারণ পাওয়া যায়নি। ফলে এই ঘটনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়ের চেয়ে কম কিছু না।