কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল যে ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থা তাদের প্রথম বাণিজ্যিক রিসার্চ মিশন চালু করতে চলেছে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে যে, এই বাণিজ্যিক রিসার্চ মিশন শুরু হতে কিছুটা দেরি হবে। উল্লেখ্য, এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনিটি ২৩’। এই মিশনের জন্য ইতালির বায়ু সেনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মার্কিন সংস্থা ভার্জিন গ্যালাকটিক। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, চলতি বছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি এই অভিযান শুরু হবে। তবে এখন শোনা যাচ্ছে যে, ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থার যে স্পেস ক্র্যাফট পাঠানো হবে এই অভিযানে, সেখানে সম্ভবত কোনও ম্যানুফ্যাকচারিং ত্রুটি দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থা এও জানিয়েছে যে, U.S. Federal Aviation Administration (FAA)- এর একটি সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি (pending resolution of a probe)। সেই জন্যও এই মিশনে দেরি হচ্ছে।
গত শুক্রবার মার্কিন সংস্থা ভার্জিন গ্যালাকটিকের তরফে জানানো হয়েছে যে অন্য একটি কোম্পানি (থার্ড পার্টি সাপ্লায়ার) ফ্লাইটের প্রিপারেশন বা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছিল। সেই সময়ে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে ম্যানুফ্যাকচার সংক্রান্ত কিছু খুঁত খুঁজে পেয়েছে ওই সংস্থা। তারপরই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মিশন। তবে ঠিক কী সমস্যা রয়েছে এবং কোথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এই ত্রুটি মেটানোর জন্য কতটা কাজকর্ম অর্থাৎ রিপেয়ার করতে হবে সে ব্যাপারেও নির্দিষত ভাবে কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে কোথায় ঠিক কী সমস্যা হয়ে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থার এই অভিযানে যে স্পেসক্র্যাফট বা মহাকাশযান এজ অফ স্পেস অর্থাৎ মহাকাশের সীমান্তে পাঠানো হবে, সেখানে থাকবে তিনজন ক্রু মেম্বার (paying crew members)। ইতালির বায়ু সেনা এবং রোম ভিত্তিক সরকারি এজেন্সি ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল থেকে এই তিন সদস্যকে বেছে নেওয়া হবে। এই মিশনের অন্যতম কাজ হল বেশি মাধ্যাকর্ষণ থেকে কম মাধ্যাকর্ষণ অঞ্চলে গেলে মানব শরীরে কী কী প্রভাব প্রতিফলিত হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। ওই তিন সদস্যের দল (paying crew members) পৃথিবীর পূর্ণ মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে লো-গ্র্যাভিটি অ্যাটমোস্ফিয়ার বা কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যুক্ত বায়ুমণ্ডলে পৌঁছলে তাদের শরীরে কী কী প্রভাব পড়বে সেটাই পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই পর্যবেক্ষণের বর্ণনা পেলে বিজ্ঞানীরাও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে আগামী দিনের অভিযান বা মিশনগুলোয় তাঁদের আর কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বুঝতে পারবেন যে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতের স্পেসফ্লাইট সিস্টেম এবং প্রযুক্তিকে কী কী উন্নতি এবং পরিবর্তন প্রয়োজন সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।