Emperor Penguin: অ্যান্টার্কটিকায় দ্রুত কমছে এম্পেরর পেঙ্গুইনের সংখ্যা, কারণ দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা

Global Warming: বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) প্রভাব কতটা বিপদজ্জনক হতে পারে তা মানুষ বেশ ভালভাবেই টের পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান আধুনিকতা জীবনকে সহজ করে তুলেছে ঠিকই, কিন্তু অন্যদিকে এর নেতিবাচক প্রভাবও দেখা যাচ্ছে যথেষ্ট পরিমানে। যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রকৃতির পাশাপাশি পশুপাখিও।

Emperor Penguin: অ্যান্টার্কটিকায় দ্রুত কমছে এম্পেরর পেঙ্গুইনের সংখ্যা, কারণ দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2023 | 1:46 PM

Antarctica Penguin: বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) প্রভাব কতটা বিপদজ্জনক হতে পারে তা মানুষ বেশ ভালভাবেই টের পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান আধুনিকতা জীবনকে সহজ করে তুলেছে ঠিকই, কিন্তু অন্যদিকে এর নেতিবাচক প্রভাবও দেখা যাচ্ছে যথেষ্ট পরিমানে। যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রকৃতির পাশাপাশি পশুপাখিও। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে বরফ গলতে শুরু করেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হল, বিশ্বে গ্রীনহাউস প্রভাবের তীব্রতা। গ্রিনহাউস প্রভাব (Greenhouse effect) বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস, নাইট্রাস অক্সাইড, সালফার হেক্সাফ্লোরাইড, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং পারফ্লুরোকার্বন-এর মাধ্যমে ঘটে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই সব কিছুর ফলে বিপদে পড়ছে অ্যান্টার্কটিকার এম্পেরর পেঙ্গুইন (Emperor penguin)।

science newss এম্পেরর পেঙ্গুইন বা সম্রাট পেঙ্গুইন অন্য় সব পেঙ্গুইন প্রজাতিদের মধ্যে সবথেকে লম্বা এবং সবথেকে ভারি পেঙ্গুইন। এদের বসবাস অ্যান্টার্কটিকাতে। মহিলা এবং পুরুষ দু’জনেরই সমান পালক আছে এবং দুজনেরই উচ্চতা সমান হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এম্পেরর পেঙ্গুইনের বিলুপ্তির ঝুঁকি বাড়ছে। এম্পেরর পেঙ্গুইনের বিপদের বিষয়ে, ইউএস ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস (US Fish and Wildlife Service) বলেছে যে, এম্পেরর পেঙ্গুইনদের সুরক্ষিত করা উচিত। নাহলে এভাবে কয়েক বছরের মধ্য়েই তারা বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন এসব পাখির অসফল প্রজননের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওয়েডেল সাগরের হ্যালি বে উপনিবেশ বিশ্বের এম্পেরর পেঙ্গুইনদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপনিবেশ। এই উপনিবেশটির বরফ দিনের পর দিন প্রচুর পরিমানে কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অ্যান্টার্কটিক বা দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে এম্পেরর পেঙ্গুইনের সংখ্যা গত 50 বছরে 75 শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা এর জন্য সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ি করেছেন।

science newsss

ওয়াইল্ডলাইফ এজেন্সি (The Wildlife Agency) জানিয়েছে, যেভাবে বরফ গলতে শুরু করেছে, তাতে পেঙ্গুইনদের বাঁচিয়ে রেখা মুশকিল। 1990-এর দশকের তুলনায় এখন পৃথিবীর বরফ দ্রুত হারে গলছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিন দশক আগে যে হারে বরফ গলত, বর্তমানে সেই হার 57 শতাংশ দ্রুত হয়েছে। ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার (National Snow and Ice Data Center-NSIDC) অনুসারে, অ্যান্টার্কটিকায় 19.1 লক্ষ বর্গকিলোমিটার গলে গিয়েছে। এটি একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে 2022-এ 19.2 লাখ বর্গ কিলোমিটার বরফ গলে গিয়েছিল। গত 40 বছরের তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যায়, 2022-এ গ্রীষ্মের মরসুমে যে হারে দ্রুত বরফ গলে গিয়েছে, তার কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি। অ্যান্টার্কটিকায় প্রতি দশকে বরফ 12-13 শতাংশ কমছে। যা অ্যান্টার্কটিকায় আগে কখনও ঘটেনি।