Weight On Moon Vs Earth: মহাকাশ নিয়ে মানুষেরই আগ্রহের শেষ নেই। কোন গ্রহ আসছে, কোন গ্রহাণু আছড়ে পড়ছে কিংবা কোন দেশ কোন গ্রহে-উপগ্রহে মহাকাশযান পাঠাল- মানুষ বরাবরই এসব নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু পৃথিবীর বাইরে মহাকাশ নিয়ে কতটুকুই বা সাধারণ মানুষ জানে। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত সবকিছু থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে তুলে ধরেন বলেই হয়তো চাঁদ, পৃথিবী, সূর্য সম্পর্কে এত কিছু জানা সম্ভব। তাও অনেক রহস্য জানতে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর কাছে চাঁদ ও সূর্যের গোপন রহস্যও ধীরে ধীরে সামনে আসছে স্যাটেলাইটের কারণে। 20 জুলাই, 1969 সেই দিনটি যখন মানুষ প্রথমবারের মতো চাঁদে পা রেখেছিল। কখনও মনে প্রশ্ন জেগেছে সেই মানুষটির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, যে প্রথমবার চাঁদে পা রেখেছিল? বিজ্ঞানীরা কিন্তু পিছু পা হননি। তাঁরা তুলে ধরেছেন অবাক করা কিছু তথ্য। একজন মানুষ চাঁদে গেলে তাঁর ওজনের পরিবর্তন হয়। কিন্তু কতটা? ওজন কমে না বাড়ে? চাঁদে পৌঁছানোর পর ওজন এতটাই কমে যায় যে, কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। অর্থাৎ, একজন ভুঁড়িওয়ালা মোটা মানুষ নিজেকে পাতলা ফিনফিনে অনুভব করবেন চাঁদে অবতরণের পর। সেই বিষয়েই বিজ্ঞানীরা যে তথ্য বিশ্ববাসীকে দিয়েছেন, তা জানলে আপনি চমকে উঠবেন। চাঁদে যাওয়ার পর মানুষের ওজনের কী পরিবর্তন হয় এবং কতটা কমে যায়, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
চাঁদে পৌঁছানোর পর ওজন অনেক কম হয়ে যায়। পৃথিবীতে আপনার ওজন যতটা, চাঁদে যাওয়ার পরে তা 1/6 ভাগ হয়ে যায়। অর্থাৎ যদি পৃথিবীতে কারও ওজন যদি 84 কেজি হয়, চাঁদে অবতরণের পর তার ওজন দাঁড়াবে মাত্র 14 কেজি। শুনেই অবাক হলেন না? আদতেই তেমনটা হয়। কিন্তু কেন এমন বিরাট পার্থক্য? ওজনের এই বিরাট পরিবর্তনের কারণ জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ওজন কেন কমে?
এটির প্রধান কারণ মহাকর্ষ। চাঁদের মহাকর্ষীয় ত্বরণ পৃথিবীর মানের 1/6। এই কারণে চাঁদে একজন মানুষের ওজন পৃথিবীতে থাকাকালীন ওজনের 1/6 ভাগ। চাঁদে পৌঁছানোর পর নভোশ্চররা 6 গুণ কম ওজন অনুভব করেন। এবার আপনার মনে হতে পারে, তাহলে নভোশ্চররা যখন চাঁদ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসেন, তখন কি রোগা হয়ে ফেরেন? না, এমন কিছুই হয় না। ভর এবং ওজন দু’টি ভিন্ন জিনিস। ভর সবসময় একই থাকে। জায়গা বিশেষে ওজনের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ, চাঁদে পৌঁছানোর পরে ভর একই থাকে। কিন্তু ওজন কমে যায়।