কোনও রকম বিস্ফোরণ না ঘটিয়েই প্রথমবার স্পেস এক্সের পরীক্ষামূলক মহাকাশযান এসএন ১৫ (SN-15) অবতরণ করে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাল। স্টারশিপ প্রটোটাইপ (Starship rocket) বিশালাকার এই মহাকাশযানটি চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে অভিযানের জন্য বানানো হয়েছে। তারই পরীক্ষামূলক অবতরণ ছিল। সেই পরীক্ষায় দারুণভাবে সফল হয়েছে স্পেস এক্স (SpaceX)।
বুধবার বিকেল ৫.২৪ মিনিটে, টেক্সাসের বোকাচিকার সমুদ্রতটের অদূরে স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে এই এসএন-১৫ প্রটোটাইপটি সফলভাবে উত্ক্ষেপণ করা হয়। সেই মহাকাশযানটি এবার বিস্ফোরণ ছাড়াই পৃথিবীর মাটিতে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। প্রসঙ্গত, টানা পাঁচবার একের পর এক ব্যর্থতার পর এই প্রথম সফল উত্ক্ষেপণ ও অবতরণ পর্ব হাসিল করে স্পেসএক্স। বিশ্বের অন্যতম ধনী ইলন মাস্কের স্পেসএক্স সংস্থাটি বহুবার এই বিশেষ মহাকাশযানটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানের জন্য তৈরি এই মহাকাশযানটি প্রায় ১০০ মেট্রিক টন কার্গো বহন করার ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, কার্গোর পাশাপাশি মহাকাশ ভ্রমণের জন্য ১০০জন যাত্রীও নিয়ে যেতে সক্ষম এই স্টারশিপটি।। মহাকাশবিজ্ঞানকে সাধারণের ধরাছোঁয়ার মধ্যে ও বিলাসীদের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের বিষয়কে জোর দিয়ে এমনিতেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ইলন মাস্ক। এছাড়া মহাকাশযান ও রকেট যাতে পুনর্ব্যবহার করা যায় তার জন্যও বিশেষ রকেট তৈরি করছে এই নামী সংস্থাটি।