২০২০ সালের শেষের দিকে হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করে সংস্থার নয়া প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ড ডিলিট বা বাতিল করে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ণ তৈরি হয়। তুমুল সমালোচনার মধ্যেই সংস্থাটি আরও জানায়, এই পলিসি অ্যাকসেপ্ট করার সময়সীমা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার কিছুটা মানবিক হয়ে সিদ্ধান্ত বদল করার প্রয়াস নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। আপাতত এমনটা হবে না বলে জানিয়েছে এই জনপ্রিয় সংস্থাটি। এদিন সংস্থা তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ মের সময়সীমা বাতিল করা হয়েছে। নয়া প্রাইভেসি পলিসি অ্যাকসেপ্ট না করলে ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা হবে না।
ফেসবুকের আয়ত্তাধীন এই জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছরের গোড়াতেই ইউজারদের নোটিফিকেশন দিতে শুরু করেছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির আপডেট না করলে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে অ্যাকাউন্ট। নয়া পলিসি ঘিরে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক দেখা দেয়। সরব হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারও। যার জেরে ১৫ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
নয়া প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে বিতর্কের পরও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায়নি হোয়াটসঅ্যাপ। যদিও এই কারণে ব্যাপক ধস নামে সংস্থার। বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে গুজব রটে, নয়া পলিসি অ্যাকসেপ্ট না করলে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় একটি সংস্থার হাতে চলে যেতে পারে। তাতে সাইবার দুনিয়ায় হ্যাকারদের জন্য বেশ লাভই হল। তবে এক্ষেত্রে সংস্থা থেকে বলা হয়, ১৫ মের মধ্যে পলিসি অ্যাকসেপ্ট না করলে ইউজারকে আরও ১২০ দিনের অতিরিক্ত মেয়াদ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে কিছুটা সীমিত সুবিধা পাওয়া যাবে। মেসেজিং অ্যাপের সব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে আপনাকে। নোটিফিকেশন, ভিডিয়ো কল, হোয়াটসঅ্যাপ কল এলেও মেসেজ পাঠানো বা মেসেজ পড়া-কোনওটাই করতে পারবেন না। এই ১২০ দিন অতিরিক্ত সময়ের মধ্যেও যদি কোনও ইউজার নয়া পলিসি অ্যাকসেপ্ট না করে, তাহলে তাঁর অ্যাকাউন্টটা ডিলিট করে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নয়া প্রাইভেসি পলিসির মাধ্যমে কোনও ইউজারের ব্যাক্তিগত তথ্য অন্য তৃতীয় সংস্থায় চলে যাবে না। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিতই থাকবে।