সেই 2007 সালে iPhone বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করেছিল। জন্মলগ্ন থেকেই আইফোনে ফিজ়িক্যাল কিবোর্ড দেওয়া হয়নি। তারপর থেকেই সারা বিশ্বের মোবাইল মার্কেটে একপ্রকার ঝড় উঠে যায়। মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক এমন হ্যান্ডসেট লঞ্চ হতে থাকে, যেগুলি থেকে ফিজ়িক্যাল কিবোর্ড তুলেই দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ফিচার ফোন কম হারে আসতে থাকে। আর তার পরিবর্তে স্মার্টফোন বাজার দখল করে। আজকের এই স্মার্টফোন এবং সর্বোপরি ফিজ়িক্যাল কিবোর্ড উঠে যাওয়ার পথপ্রদর্শক যে আইফোন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার সেই iPhone-এর জন্যই বাজারে এমন কেস হাজির হল, যাতে ফিজ়িক্যাল কিবোর্ডই দেওয়া হয়।
কোম্পানির নাম ক্লিকস্। পপুলার ইউটিউবার মাইকেল ফিশার এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এবং তাঁর সংস্থা এমনই একটি কিবোর্ড নিয়ে এসেছেন, যা আইফোনে স্ট্র্যাপের মত ঢুকে যায় এবং ফোনে একটি কোয়ের্টি কিবোর্ড দেয়। এই আইফোন কেসটির দাম 139 মার্কিন ডলার বা 11,564 টাকা। এই কিবোর্ড আইফোনের আকার সামান্য বাড়িয়ে দেয়। সেই অতিরিক্ত ইঞ্চিতে থাকে একটি কিবোর্ড। কেসটি পরিয়েই আপনি আইফোন চার্জ দিতে পারবেন। দুটি রঙে পাওয়া যাবে কেসটি। তার একটি উজ্জ্বল হলুদ বা ‘বাম্বলবি’ এবং অপরটি গ্রে বা ‘লন্ডন স্কাই’।
এই কেস আইফোনে পরানোর পরে তার লুক এক্কেবারে বদলে যাবে, অনেকটা ব্ল্যাকবেরি ফোনের মতোই হয়ে যাবে। এখন এই কেস যদি আপনি আইফোনে পরিয়ে রাখেন, তাহলে একাধিক সুবিধা পাবেন। ইমেল লেখার কাজটা যেমন সহজ হবে, তেমনই আবার ফোন থেকে যে কোনও ডকুমেন্টও অনায়াসে পাঠাতে পারবেন। এই ফিজ়িক্যাল কিবোর্ডটিতে আবার রয়েছে। যেমন CMD+H, যা প্রেস করলে আপনি হোমস্ক্রিনে পৌঁছে যাবেন, আবার CMD+Space প্রেস করে আপনি সার্চ করতে পারবেন। তাছাড়াও ফোনের ক্লিকস্ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আরও কিছু শর্টকাট নিতে পারবেন।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ফিশার জানিয়েছেন, এই কিবোর্ড লেআউটটি ব্যবহারকারীদের একটা ক্লিক করার ফিল দেবে। ক্লিক করার যে সাউন্ডটা আমরা সাধারণত কম্পিউটারের মাউস থেকে বা ফিচার ফোন থেকে পাই, এখানেও আমাদের ফিলিংটা কিছুটা সেরকমই হবে। সামনের সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে CES টেক ইভেন্টে এই প্রযুক্তিটি প্রদর্শিত হবে। তারপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হাজির হবে। কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, 1 ফেব্রুয়ারি থেকেই এই ডিভাইসের শিপিং শুরু হয়ে যাবে।