Hikikomori Syndrome: বিরল হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত জাপানের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ
দেশের একটা বড় অংশকে গ্রাস করেছে সোশ্যাল উইথড্রয়াল। সমাজ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তাঁরা। বদ্ধ চার দেওয়ালে নিজেদের একপ্রকার বন্দি করে রেখেছেন। সমাজের আলোয় তাঁরা আর ফিরতে চান না
জাপানের ১৫ লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে এক বিরল রোগে আক্রান্ত। সেই রোগই হল ‘হিকিকোমোরি’, অর্থাৎ সোশ্যাল উইথড্রয়াল। দেশের একটা বড় অংশকে গ্রাস করেছে সোশ্যাল উইথড্রয়াল। সমাজ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তাঁরা। বদ্ধ চার দেওয়ালে নিজেদের একপ্রকার বন্দি করে রেখেছেন। সমাজের আলোয় তাঁরা আর ফিরতে চান না। ক্রমে অবসাদে ডুবে যাচ্ছেন। উৎকণ্ঠা,ভয়ে তিলে-তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছেন। এই রোগের কারণ কাজ হারানো,ব্য়ক্তিগত জীবনে আঘাত, সামাজিক দূরত্ব। বছরের পর বছর,সমাজের মূল স্রোত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখেন আক্রান্তরা। অবসাদ ধীরে-ধীরে শেষ করে দেয় মানুষকে। সমীক্ষা বলছে,আক্রান্তদের ৪৪.৫% কাজ না থাকায় অবসাদে ভুগছেন। জাপান সরকার আক্রান্তদের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য সচেষ্ট হয়েছে। এডোগাওয়া ওয়ার্ডে,হিকিকোমোরি আক্রান্তদের জন্য় মেটাভার্স ইভেন্টের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই ওয়ার্ডের ৯০০০ মানুষ এই রোগের শিকার। ‘হিকিকোমোরি’তে আক্রান্তদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে এক জন সমাজের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ভাল পড়াশোনা,ডিগ্রিলাভের পরও বেকারত্বের শিকার যুব সম্প্রদায়ের এক বড় অংশ। অবসাদ এতটাই চরমে পৌঁছয় যে,তাঁদের চাকরি দেওয়া হলেও,তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় অনীহা। জাপানের ১৫ থেকে ৬২ বছর বয়সীদের মধ্যে ‘হিকিকোমোরি’তে আক্রান্ত ২% মানুষ। শুধুমাত্র টোকিয়োতে ‘হিকিকোমোরি’ আক্রান্ত ৯ হাজার মানুষ,এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী।