Birbhum News: ছিলেন যুবক, ফিরলেন প্রৌঢ়

Birbhum News: ছিলেন যুবক, ফিরলেন প্রৌঢ়

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Sep 04, 2023 | 9:44 PM

বীরভূম খয়রাশোলের বাসিন্দা সন্নাসী দাস পঁচিশ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক খুঁজে না পেয়ে পরিবার ধরেই নিয়েছিল মারা গেছে সন্ন্যাসী। হঠাৎ করেই চন্দন বাউল দাসের একটা ফেসবুক পোস্ট সেই ভাবনা দূর করে ঘরে ফিরতে সাহায্য করল তাকে।

বীরভূম খয়রাশোলের বাসিন্দা সন্নাসী দাস পঁচিশ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক খুঁজে না পেয়ে পরিবার ধরেই নিয়েছিল মারা গেছে সন্ন্যাসী। হঠাৎ করেই চন্দন বাউল দাসের একটা ফেসবুক পোস্ট সেই ভাবনা দূর করে ঘরে ফিরতে সাহায্য করল তাকে। চন্দন পেশায় গাড়ি চালক। তারও খয়রাশোলের বাড়ি।কাজের সূত্রে হুগলির দাদপুরের মহেশ্বরপুরে যাতায়ায় এবং একটি নির্দিষ্ট হোটেলে খাওয়া।দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে সেই হোটেলে খেতে খেতে চন্দন হোটেল মালিককে বলেন জয়দেবের মেলায় গেলে তাকে জানিয়ে যেতে সে ব্যবস্থা করে দেবে। সেই হোটেলের এক প্রৌঢ় কর্মির বাড়ি খয়রাশোলে জানান হোটেল মালিক। চন্দন প্রৌঢ়ের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ঠিকানা বুঝতে পারেন না। প্রৌঢ়র কথা অসংলগ্ন স্মৃতি কিছুটা লোপ পেয়েছে। একই এলাকার লোক অথচ বাড়ির ঠিকানা বলতে পারছে না,হয়ত ওর পরিবার আছে, মায়া হয় চন্দনের। প্রৌঢ়ের ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। প্রৌঢ়ের বিবরন দিয়ে কোথায় রয়েছে বর্তমানে তাও লেখেন। সেই পোস্ট দেখে চন্দনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্ন্যাসীর পরিবার। সোমবার স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের সহায়তায় সন্ন্যাসীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , সন্ন্যাসীর বাড়ি বীরভূম জেলার খয়রাশল গ্রামে। পঁচিশ বছর আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর ঘর ছেড়েছিল স্ত্রী। সহধর্মিনী চলে যাওয়ার শোক সামলাতে না পেরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সেই কারণেই হয়তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি । কোন লরিতে উঠে করে চলে আসেন হুগলির দাদপুরের মহেশ্বরপুরে মোড়ে। সেখানেই ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াতে থাকে। ঠিক ভাবে কথাও বলতে পারতেন না। স্থানীয় দম্পতি কাজল ও গৌরী দাসের হোটেলে আশ্রয় মেলে। সেখানেই এত বছর ধরে কাজ করেছেন।

দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে সন্নাসীকে আগলে রেখেছিলেন কাজল দাস, তিনি আজ আনন্দিত তবে তার চোখের কোনে জল । তিনি বলেন, পরিবারকে ফিরে পেয়েছে তাতে আমি খুব আনন্দিত। কিন্তু এতদিন ধরে আমার কাছে ছিল মায়া পড়ে গেছে। সেটাতেই একটু মনে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাচ্ছে তাতে আনন্দ হচ্ছে ।

দাদা নিমাই দাস বলেন, ভাইকে ফিরে পেয়ে আনন্দ লাগছে। হারিয়ে যাবার পর ভাইকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি ভেবেছিলাম আর হয়তো বেঁচে নেই। আজ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলাতে ভাইকে ফিরে পেয়েছি।