Asteroid near Earth: পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরোচ্ছে গ্রহাণু! আজ সাবধান, ঘুম হবে তো রাতে?
Asteroid: এবার কালকের কথাটা বলি। এর নাম অ্যাপোফিস। বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, প্রথমে ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল। তারপর ২০৩৬ সালে আবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এই গ্রহাণু। ৩৭০ মিটার ব্যাসের যে গ্রহাণুকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ১৯০৮ সালের জুন। সাইবেরিয়ার গহন অরণ্যে আছড়ে পড়েছিল গ্রহাণু। অ্যাস্টেরয়েডের ধাক্কাতে ধ্বংস হয়ে যায় বনাঞ্চল। ৮ কোটি গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার হাত থেকে আজ আমরা বেঁচে গেলাম। আজ মানে আজই। কিন্তু, কাল বাঁচব কী। কেউ জানে না। প্রথমে আজকের কথাটা বলি। তারপর কালকের কথাটা বলবো। নাম তার 2016 RJ20. আয়তন একটা বড়সড় প্লেনের মতো। বিজ্ঞানীরা বলছেন ডায়ামিটার ২১০ ফুট। আর গতি। ঘণ্টায় ২৭ হাজার মাইল। জিনিসটা একটা অ্যাস্টরয়েড বা গ্রহাণু। আজ সে পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। কান ঘেঁষে মানে ৪০ লক্ষ মাইল দূর দিয়ে। কারও যদি শুনে মনে হয় যে এতো অনন্ত দূরত্ব। তাহলে মনে করিয়ে দিই মহাকাশে এই দূরত্বটা আপনার ঘর আর বাথরুমের দূরত্বের চেয়েও কম। কারণ, স্পেসে ডিসট্যান্স মাপা হয় লাইটইয়ার দিয়ে। দুনিয়ার সমস্ত দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা খাতাকলম নিয়ে বসে গেছেন। কারণ, asteroid 2016 RJ20 হলো পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া অন্যতম দ্রুতগতির কোনও গ্রহাণু। এর চরিত্র ও গতিপথ স্টাডি করে বিজ্ঞানীরা জানাবেন, ভবিষ্যতে আবার কবে কোন গ্রহাণু কী বিপদ নিয়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসবে।
এবার কালকের কথাটা বলি। এর নাম অ্যাপোফিস। বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, প্রথমে ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল। তারপর ২০৩৬ সালে আবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এই গ্রহাণু। ৩৭০ মিটার ব্যাসের যে গ্রহাণুকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ১৯০৮ সালের জুন। সাইবেরিয়ার গহন অরণ্যে আছড়ে পড়েছিল গ্রহাণু। অ্যাস্টেরয়েডের ধাক্কাতে ধ্বংস হয়ে যায় বনাঞ্চল। ৮ কোটি গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ২০২৯ কিন্তু খুব বেশি দূরে নেই? তাই অ্যাপোফিস থেকে সাবধান! আশঙ্কার খবর তো দিলাম। এবার এই গ্রহাণু নিয়েই একটা সম্ভাবনার খবরও দিই। সিক্সটিন-সাইকি। পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ৫৩ কোটি কিলোমিটার। এই গ্রহাণুর পেটে লুকিয়ে আছে বিপুল গুপ্তধন। টন টন সোনা, প্ল্যাটিনামে মোড়া সিক্সটিন-সাইকি। কত টাকার সম্পদ হবে জানেন? আমাদের পৃথিবীর যা অর্থনীতি তার কয়েক লক্ষ গুণ! নাসার মহাকাশযান ইতিমধ্যে পাড়ি দিয়েছে গ্রহাণুর উদ্দেশে। বছর পাঁচেক পরই পৌঁছে যাবে। তারপরই শুরু হয়ে যাবে মহাকাশে গুপ্তধনের সন্ধান।