Baishakhi Exposes Partha: পার্থ দার বসানো অফিসার! মদ, মহিলা, পয়সা ছাড়া কাজ করেন না: বৈশাখী
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "পার্থ দা বলতেন তিনি নম্বর টু। বিজেপির সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক। তাঁকে কেউ ছুঁতেও পারবে না। এই অহংবোধই ডুবিয়ে দিল, পার্থ দা নিজের কর্মফল পাচ্ছেন।"
কলকাতা: ২২ জুলাইয়ের ইডি অভিযান, টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সেদিন রাতে পৌনে ২টো নাগাদ গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী (তখনও বরখাস্ত হননি) পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর জল গড়িয়েছে আরও অনেক দূর। টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়ায় ক্লাব টাউনে অর্পিতার ফ্ল্যাটে আবারও উদ্ধার হল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। শাসকের মুখ পুড়তেই তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ‘তাড়িয়ে’ দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নামের আগে থেকে খসে গেল ‘মন্ত্রী’ শব্দ। এরপর খোয়া গেল দলীয় পদও। তৃণমূলের সদস্যও রইলেন না পার্থ। যার অভিঘাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, তিনি ‘চক্রান্তের শিকার’। এই আত্মপক্ষ সমর্থন কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য, এক সময়ের পার্থ ঘনিষ্ঠ অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ‘না’।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই আশা করেছিলেন, কেন এত দেরি হল — TV9 বাংলার সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন তুললেন খোদ বৈশাখী। শুধু তাই নয়, টেলিভিশনের পর্দায় তিনি খুলে দিলেন দুর্নীতির প্যান্ডোরা বক্স! শুধু স্কুলই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে দু্র্নীতির শাখা প্রশাখা ছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনেও, বিস্ফোরক বৈশাখী।
ব্যক্তিগত স্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল। সেকথা মেনে নিয়েও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পার্থ দা বলতেন তিনি নম্বর টু। বিজেপির সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক। তাঁকে কেউ ছুঁতেও পারবে না। এই অহংবোধই ডুবিয়ে দিল, পার্থ দা নিজের কর্মফল পাচ্ছেন।”
অর্পিতা কে চিনতেন? বহুবার ‘নেপালি মতো’ মহিলাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখেছেন, এখন সব সামনে আসার পর বৈশাখী বুঝতে পেরেছেন এই সেই মহিলা, ইনিই অর্পিতা। তাঁর শোনা কথা, চাকরি সুনিশ্চিত করতে এ সরকারের নকশা দিয়ে হার চেয়েছিলেন পার্থ। সেই হার মেয়েকে না দিয়ে অর্পিতার গলায় পরিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে কাটমানি নিতেন সেকাথাও ফাঁস করে দিয়েছেন বৈশাখী। চাকরির সুপারিশে বিধায়কদের সঙ্গে দর কষাকষি করতেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, এমনই অভিযোগ তাঁর। বৈশাখীর অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বসানো অফিসারদের বিরুদ্ধেও। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, “এখনকার আধিকারিকরা অফিসাররা কম কালেক্টর বেশি। তাঁরা মদের বোতল, মহিলা আর পয়সা ছাড়া কাজ করেন না”। তাঁর কথায়, শিক্ষাক্ষেত্রে দু্র্নীতি ফুসকুড়ি নয়, গ্যাংরিনের আকার ধারন করেছিল! বৈশাখীর বিস্ময়, কেন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই কথা পৌঁছল না!