Dhupguri Potato Damage: লেবেলে নামী কোম্পানির নাম,প্যাকেটে নিম্নমানের বীজ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Nov 22, 2023 | 6:44 PM

নামীদামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ! খেতে লাগানো আলু বীজ একমাস যেতে না যেতেই পচন ধরায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য ! মাথায় হাত আলু চাষীর। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মসজিদ পাড়া এলাকার ঘটনা। ধূপগুড়ি কৃষি আধিকারিক এর কাছে অভিযুক্ত আলু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়।

নামীদামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ! খেতে লাগানো আলু বীজ একমাস যেতে না যেতেই পচন ধরায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য ! মাথায় হাত আলু চাষীর। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মসজিদ পাড়া এলাকার ঘটনা। ধূপগুড়ি কৃষি আধিকারিক এর কাছে অভিযুক্ত আলু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ, ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মসজিদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা সফিউল আলম ধূপগুড়ি শহরের পিন্টু পাল নামে এক আলু বীজ ব্যবসায়ীর থেকে একমাস আগে বীজ কিনে সেই বীজ রোপন করেছিলেন।

সেই বীজ রোপনের পর আলু গাছ কিছুটা বড় হতেই নিজে থেকে মরে যেতে শুরু করে। যা দেখে সন্দেহ হয় কৃষকের । মাটি খুঁড়ে দেখেন যে কি কারনে আলু গাছ গুলি মরে যাচ্ছে। আর মাটি খুড়তেই চোখ কপালে উঠে যায় কৃষকের। দেখতে পান আলুর বীজ, আলু তৈরীর পরিবর্তে পচে যেতে শুরু করেছে। এক মাস যেতে না যেতেই মাটির তলায় পচে যেতে শুরু করেছে আলুর বীজ। আর এটা দেখা মাত্রই চিন্তায় পড়ে যায় আলু চাষী সফিউল আলম। শফিউল এবছর এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন ধূপগুড়ি শহরের সেই আলু বীজ ব্যবসায়ীর কাছে। তাকে গোটা ঘটনা জানান। কিন্তু সেই আলু ব্যবসায়ী কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন শফিউল বাবু। এমনকি ক্ষতিপূরণ দিতেও অস্বীকার করেন বলে দাবি।

এরপরেই সেই কৃষক ছুটে যান ধূপগুড়ির কৃষি অধিকর্তার কাছে। তাকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানান আলু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।কৃষক ভেবেছিলেন অভিযোগ জানানোর পর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু উল্টে কৃষি দপ্তরের এক কর্মী ফোন করে কৃষককে বিষয়টি টাকা পয়সার বিনিময় মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। অভিযুক্ত আলু ব্যবসায়ী পিন্টু পালকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এমনকি তার দোকানে থাকা কর্মচারীরাও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। আর এর থেকেই আরো বেশি সন্দেহ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের মধ্যে। এবিষয়ে ধূপগুড়ির কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে ক্ষতিয়ে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে কৃষি দপ্তরের কর্মী ফোন কৃষককে টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।