দার্জিলিং: ধসে যাচ্ছে জোশীমঠ, আস্তে আস্তে বসে যাচ্ছে গোটা এলাকা। বহুদূরে বসে পশ্চিমবঙ্গবাসী যদি ভাবেন নিরাপদে আছেন, তাহলে কিন্তু ভুল হবে! বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে দার্জিলিং। ভূমিকম্প বা প্রবল বর্ষণে কী অবস্থা হবে ‘ক্যুইন অফ হিলস’-এর? আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে পাহাড়বাসী।
ইট, কাঠে আরও বেশি যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে শৈলশহর। পাহাড়ে বাড়ছে বেআইনি নির্মাণ। সাধের শৈলশহর নিয়ে আশঙ্কার বার্তা বিশেষজ্ঞদের। দার্জিলিংয়ে ৪ তলার বেশি উঁচু বাড়ি হওয়া উচিত না, সেখানে ১১ তলা বাড়ি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওরফে বিপর্যয় মোকাবিলা বিশেষজ্ঞ গুপীনাথ ভাণ্ডারির মতে, “ব্যবসা বাড়ানোর জন্য হোটেল বড় হচ্ছে, কিন্তু হাইরাইজ বিল্ডিংকে ধারণের ক্ষমতা পাহাড়ের নেই।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিসমিক জোন ৪ ও ৫-এর আওতায় পড়ে দার্জিলিং। “ভূমিকম্প হলে বড় বিপদ”, জানালেন বিপর্যয় বিশেষজ্ঞ। এখানেই না থেমে তিনি আরও জানালেন, “দার্জিলিংয় এত ঘিঞ্জি, এত বিল্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে যে ভূমিকম্প হলে পর্যটকরা দাঁড়ানোর জায়গা পাবেন না। মাথার উপরে ভেঙে পড়বে বহুতল।” অনুন্নত নিকাশি ব্যবস্থার কারণে ভূমিধসের সম্ভাবনা বাড়ছে। উন্নয়ন হওয়া উচিত নিয়ম মেনে, বেনিয়মের জেরে জোশীমঠের ছায়া ঘনাচ্ছে দার্জিলিংয়ের উপরেও?