Dilip Ghosh News: বোমা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
পশ্চিমবাংলায় বিস্ফোরণ কোন নতুন ব্যাপার নয়,লোকে দীপাবলি বা সংক্রান্তিতে বোমা ফাটায় আমরা সারা বছর ফাটায়,মমতা ব্যানার্জি সেটা নিয়ে কিছু বলবে না! দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
পশ্চিমবাংলায় বিস্ফোরণ কোন নতুন ব্যাপার নয়,লোকে দীপাবলি বা সংক্রান্তিতে বোমা ফাটায় আমরা সারা বছর ফাটায়,মমতা ব্যানার্জি সেটা নিয়ে কিছু বলবে না! দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সাথে চা চক্রে বসে এমনটাই মন্তব্য করলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। চা চক্র শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বিস্ফোরণ কোন নতুন ব্যাপার নয়,লোকে দীপাবলি বা সংক্রান্তিতে বোমা ফাটায় আমরা সারা বছর ফাটায়,জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে এমন সমস্ত ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছে আশেপাশের বাড়ি পা সমস্ত উড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি সেটা নিয়ে কিছু বলবে না! মণিপুরে কি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে কি হয়েছে এই নিয়ে উনার খুব চিন্তা। উনার পায়ের তলায় বোমা রেখে দিয়ে গিয়েছে উনি বুঝতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ গরিব মানুষ তারা মারা যাচ্ছে, যে কিছুই জানেই না, নির্দোষ সেও মারা যাচ্ছে। উনারা যুক্তি দেন এখানে লোকেরা খেতে পায় না ১০০ দিনের কাজ বন্ধ তাই বোমা তৈরি করছে। গরিব তাহলে বাংলায় আছে নাকি? এটা ঠিকই বাংলাকে উনারা গরীব করে দিয়েছে ১২ বছরে। কিন্তু বাকি রাজ্যগুলো কেন বোমা বানায় না ? পুলিশ কি এখানে খায় দায় ঘুমোয় ? নাকি ওনাদের নেতারা বানাচ্ছেন। ওখান থেকে দুধের গাড়ি করে বোমা সাপ্লাই হত ট্রানকে করে বারুদ আসতো। সব জানে কেউ ভয়ে বলেনি। পুলিশকে বললে পুলিশ উল্টো কেস দিয়ে দেয়। পুলিশ টাকা নেয়,নেতারা টাকা নেয় আর দিনের পর দিন এই অবৈধ বিপদজনক কাজ চালায়। আজ যখন এই ধরনের বিস্ফোরণ হচ্ছে মানুষের মাথা ঘুরে যাচ্ছে। সবাই এর ভয় হচ্ছে কি জানি আমাদের পাড়াতেই কারখানা আছে নাকি কখন বোমা ফাটবে। যত দিন যাচ্ছে ভয়ংকর ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর মমতা ব্যানার্জি এ ব্যাপারে চুপ আছেন দুর্ভাগ্যের বিষয় পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলায় থাকলেও মরে যাচ্ছে। বাংলার বাইরে কাজ করতে গেলেও সেখানেও অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মরে। বাংলার মানুষ কি এরকম অপঘাতে মৃত্যু লিখে নিয়ে এসেছে? ভগবানের কাছ থেকে। আমার মনে হয় এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী মমতা ব্যানার্জি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ছাত্র প্রতিষ্ঠা দিবসে মন্তব্য করেন,ছাত্র রাজনীতি থেকে এসছি,এটাই সবথেকে গর্বের বিষয়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তাদের ছাত্র সংগঠনের গর্বের মত আছে তো,যে ছাত্র সংগঠনের নেত্রী আর পার্টি কর্মীদের কাছে ধর্ষিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় সুরক্ষিত নয়। আর আমি বলিনি,সে নিজেই ফেসবুক লাইভে কমপ্লেন করছে। ট্রেনে একসঙ্গে আসছেন মহিলা কর্মীদের উপর পুরুষরা আক্রমণ করছে। কি কালচার তৈরি করেছেন মমতা ব্যানার্জি ? যাদবপুর তার উদাহরণ! এদিকে বলছেন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে আছি। আর সেই প্রাচীন পদ্ধতির রেগিং এখনো বন্ধ হয়নি। সবচেয়ে আধুনিক সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা যাদবপুরে ভর্তি হচ্ছে । এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের লজ্জার কি হবে। উপাচার্য ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, যাদবপুর উপাচার্য গিয়ে সবকিছু পাল্টে দেবেন এরকম হওয়ার কোন কারণ নেই। যাদবপুরে কে আসছে কে যাচ্ছে জানে না। পুলিশ ঢুকবে না,সেখানে ছদ্মবেশে সেনারবেশে ঢুকে গিয়ে সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করে দিচ্ছে কিছু লোক। কি করে এটা হতে পারে? এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সেন্সেটিভ জায়গাতে। এইযে দিনের পর দিন বছরের পর বছর ওখানে দেশবিরোধী-সমাজবিরোধী ক্রিয়া-কলাপ চালাচ্ছে। কি করে সম্ভব হচ্ছে? এখানে সরকার নেই ? এখানে দায়িত্ব নেই হাজার হাজার স্টুডেন্টকে মৃত্যুর হাতে ছেড়ে দিচ্ছে ওরা। এটা মমতা ব্যানার্জিকে স্টেপ নিয়ে দেখাতে হবে। উনি বড় বড় কথা বলেন। একটা কিছু করার মরদ ওনার নেই। একটা লাঠি চালাতে পারেনা, একটা এফআইআর নেন না। তাই সারা দেশ থেকে দুষ্কৃতরা বিদেশ থেকে আসে উগ্রপন্থীরা এখানে। আর এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ছেলে মেয়েরা গিয়ে ওখানে দুষ্কৃতকারী হয়ে যাচ্ছে। এর সমস্ত দায়িত্ব মমতা ব্যানার্জির।