Panchayat Election 2023: বিরামপুরে অবিরাম গোলাপ
হাওড়ার ছোট্ট গ্রাম বিরামপুর। এই গ্রামের পরিচিতি গোলাপের জন্য। গ্রামের ৩০ থেকে ৪০ জন চাষি গোলাপ ফলান তাঁদের জমিতে। এখানে মাইলের পর মাইল যতদূর চোখ যায় গোলাপের বাগান। কেমন আছেন এখানকার গোলাপ চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন?
হাওড়ার ছোট্ট গ্রাম বিরামপুর। এই গ্রামের পরিচিতি গোলাপের জন্য। গ্রামের ৩০ থেকে ৪০ জন চাষি গোলাপ ফলান তাঁদের জমিতে। এখানে মাইলের পর মাইল যতদূর চোখ যায় গোলাপের বাগান। কেমন আছেন এখানকার গোলাপ চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। ছ কাঠা জমিতে গোলাপের বাগান শম্ভু পাত্রের। তাঁর কথা অপ্রাপ্তি অভিযোগ তো অনেক কিন্তু বলব কাকে? স্থানীয় প্রশাসক পঞ্চায়েতের কর্তাদের বলতে গেলে তাঁরা বলেন “তোমাদের আর কী সমস্যা?” এই গোলাপের বাগানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কীট পতঙ্গের আক্রমণে জেরবার হন চাষিরা। তারপর যা ফুল ফোটে তার বাজারে বিক্রি করতে গেলে অনেক সমস্যা। গোলাপ বিক্রি হয় প্রতি ১০০টির হিসেবে। বাজার থেকে যে গোলাপ আমরা কিনি, জানেন তা ফলিয়ে চাষি কত পান? শুনলে চমকে যাবেন। নেই এই দামের কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ। কখনও ১০০ গোলাপের দাম হয় ৫০০ টাকা কখনও মাত্র ৫ টাকা। কখনও আবার বিক্রি না করে ফেলেও দিতে হয় ফুল। একফালি বাগান ভাড়া নিয়ে চাষ করেন বাসুদেব পাত্র। মেদিনীপুরের জকপুর থেকে পুরুষ গোলাপের চারা এনে তার সঙ্গে স্ত্রী গোলাপ গাছের কলম করে গাছ বানান এই বৃদ্ধ। বিস্তর ঝক্কি গাছের কলম করা থেকে ফুল আসা পর্যন্ত। যত্ন লাগে, পরিচর্যা লাগে, পরিবেশের ঠিকঠাক পরিস্থিতি লাগে । তারপর তাঁর এই বাগানে ফোটে নানা রঙের গোলাপ। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফুলে ফুলে লড়াই হবে জমজমাট। আর এই ফুলের বাগান গুলোয়? তাতে কি আসবে কোনও পরিবর্তন?