Bangladeshi arrested: জাল নথি তৈরিতে বারবার কলকাতার নাম, লুকিয়ে কোন রহস্য?
Bangladeshi arrested: জাল পাসপোর্ট কীভাবে তৈরি করল বিএনপি সদস্য? অবৈধভাবে ভারতে আসার পিছনে কী উদ্দেশ্য? তার সঙ্গে কি আরও কেউ এসেছিল ভারত? এসবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা: ওপারে অরাজকতা। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা। আর সেই অস্থিরতার সুযোগে অনুপ্রবেশ। সীমান্ত থেকে জালে উঠছে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী। আর এবার খাস কলকাতায় ধরা পড়েছে এক বাংলাদেশি। এলেবেলে কেউ নয়, বিএনপির সদস্য। প্রায় ২ বছর ধরে ভারতে রয়েছে সে।
নাম তার সেলিম মাতব্বর। পরিচয় দিয়েছিল রবি শর্মা নামে। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি গেস্টহাউস থেকে ওই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের মাদারিপুরের বাসিন্দা। ভারতে ঢুকে নাম ভাঁড়িয়ে, জাল নথি তৈরি করে রবি শর্মা নামে কলকাতায় বাস করছিল। এক সপ্তাহ ধরে ঘাপটি মেরে ছিল ওই হোটেলে।
জাল পাসপোর্ট কীভাবে তৈরি করল বিএনপি সদস্য? অবৈধভাবে ভারতে আসার পিছনে কী উদ্দেশ্য? তার সঙ্গে কি আরও কেউ এসেছিল ভারত? এসবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জাল নথি তৈরির অভিযোগে বারবার নাম জড়াচ্ছে কলকাতার। কিছুদিন আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে চিত্রদুর্গে ৬ জন গ্রেফতার হয়। পাসপোর্ট ও জাল নথি উদ্ধার হয় ধৃতদের কাছ থেকে। জানা যায়, জাল পাসপোর্ট ও নথি তৈরি করা হয়েছিল কলকাতা থেকেই। পার্কস্ট্রিটে ধৃত বাংলাদেশির কাছেও উদ্ধার হল জাল নথি। কসবার গুলশন কলোনিকে অনুপ্রবেশকারীদের ঘাঁটি হিসেবে অনেকেই বলেন। এবার অনুপ্রবেশকারীর আস্তানা রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের হোটেল। রাজ্যের শাসক দল অবশ্য অনুপ্রবেশে নিয়ে বিএসএফের দিকে আঙুল তুলতে ব্যস্ত।
খাস কলকাতা শুধু নয়, জেলায় জেলায় জালে পড়ছে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সীমান্ত থেকে দুই দালাল সহ তেরো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু নদিয়াতেই গ্রেফতার ১০।
মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সাইদুল শেখের বাড়ি পাবনার গোপালপুরে। সাইদুলের সঙ্গে ধরা পড়ে দুই দালাল ফিজুল এবং আমিরুল শেখ। নদিয়া সীমান্তের ধরমপুর খালপাড়া থেকে চার অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা না থাকা সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার এক মহিলা সহ চারজন ভারতে ঢোকে। দুদিন এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সন্ন্যাসী গ্রেফতার, অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এরই মধ্যে চিন্তায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা এলাকার ৭৯ মৎস্যজীবীর পরিবার। গত অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে এ রাজ্যের ৫টি ট্রলার। বাংলাদেশের উপকূল রক্ষীবাহিনী এবং নৌবাহিনী আটক করে সেদেশের পুলিশের হাতে তুলে দেয় বাংলার মত্স্যজীবীদের। ৭৯ জনকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশের জেলে বন্দি তাঁরা। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।