Free Oxygen: অক্সিজেনের হরির লুট
মাটির টান জুড়লো মার্কিন মুলুক থেকে বাংলা। জন্মভূমির টানে সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে ২ কোটি টাকার ৩০০টির বেশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠিয়েছেন হার্ভার্ড থেকে পাশ করা অর্থনীতিবিদ প্রদীপ কুমার ঘোষ।
পড়ে রয়েছে গাদা গাদা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। চাইলেই পাবেন বিনামূল্যে। মুড়ি-মুড়কির মতো বিলি হচ্ছে। ঠিক যেন হরির লুট।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পৌঁছে গেল মন্ত্রী বিধায়কদের হাতেও।
কিন্তু কে দিলেন? কেনই বা দিলেন? ঠিক হাতে পৌঁছবে তো? সত্যি দরকার যাঁর, তিনি পাচ্ছেন তো? মাটির টান জুড়লো মার্কিন মুলুক থেকে বাংলা। জন্মভূমির টানে সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে ২ কোটি টাকার ৩০০টির বেশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠিয়েছেন। হার্ভার্ড থেকে পাশ করা অর্থনীতিবিদ প্রদীপ কুমার ঘোষ এ দেশে চান তাঁর একটা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান গড়তে। যে প্রতিষ্ঠান করোনার মতো দুর্দিনে মানুষের কাজ করবে। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থেকে সোজা পাড়ি মার্কিন মুলুকে। সেই কবেকার কথা! ১৯৬৮ সাল। মার্কিন মুলুকে অনেক পুরনো এই প্রবাসী বাঙালিবাবু। ১৯৬৮ সালে স্নাতক পড়তে বিদেশযাত্রা। নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিক্সে ডক্টরেট। তাঁর লেখা বই বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকার অন্তর্গত। ২২ বছর সেখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। শুধু পড়াশোনাই নয়, একইসঙ্গে বাঙালির সনাতনী ঐতিহ্য-আচারকেও সে দেশে তুলে ধরেছেন। ওয়াশিংটনে কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রদীপবাবু।
আসলে এ দেশের সঙ্গে নিজেকে প্রতিনিয়ত বেঁধে রাখতে চেয়েছেন মানুষটি। ৩৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরই তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠিয়েছেন। লালবাজার-সহ থানাগুলিতে থাকবে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজারহাট অঞ্চলে তৈরি হওয়া ১০টি সেফ হোম, এলাকার ৩টি থানা, সঙ্গে বিভিন্ন আবাসন ক্লাব, যারা এসেছে তাদেরকে একাধিক অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দেওয়া হল। গাড়ির ডিকিতে, সামনের সিটে যে যেমন পারলেন, নিয়ে গেলেন।