Ghatal Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর গোল্ড হাব চরম সংশয়ে!

Ghatal Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর গোল্ড হাব চরম সংশয়ে!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Jul 24, 2023 | 4:39 PM

তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা এদিন 'খেলা হবে' প্রকল্পের কাটআউট ও প্ল‍্যাকার্ড নিয়ে বিজয় মিছিল বের করল। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে এদিন মিছিল হল লেবুখালী-হাসনাবাদ রোডের বাঁকড়া থেকে সাহাপুর পর্যন্ত।

 

ছোটদের খেলার মাঠ, দুর্গা পুজোর জায়গা, শ্মশান ও শ্মশানের জমি, রাতারাতি বদলে গেল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের জমি তে। গ্রামের মানুষকে অন্ধকারে রেখে কিভাবে এই ভোল বদল ক্ষোভে ফাঁসছে গ্রাম মানুষ। পোস্টার প্লাকাডে ছয়লাফ গোটা গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গোল্ডা হাবে র কাজ থমকে গেল, দাসপুরে। জমি আন্দোলনের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোল্ড হাব কাজ থমকে গেল মাঝপথে। হাইকোর্ট রিপোর্ট চেয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে, সব মিলিয়ে দাসপুরে তৈরী হওয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বাদের গোল্ড হাব গ্রামবাসীদের ক্ষোভে জমি জটে বিষবাঁও জলে।

গ্রামবাসীদের সাথে, প্রশাসনের বোঝাপড়ার অভাব,মাঝ পথে থমকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গোল্ড হাব। কোটি টাকা ব্যয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের গোল্ড হাবের ভবিষ্যৎ অথৈ জলে।
শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কোটি টাকা ব্যয়ের শুরু হয়েছিল, গোল্ড হাব তৈরির কাজ, খেলার মাঠ ও শ্মশানের উপর তৈরি করা হচ্ছে গোল্ড হাব।বাধ সাধল গ্রামের মানুষজন,আর আদালতের দ্বারস্থ হতেই, থমকে গেল গোল্ড হাবের কাজ। গোল্ড হাব তৈরি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের, ফরিদপুর গ্রামে ৪৫৭ দাগে ফরিদপুর মৌজায় এক নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত শ্মশান ভূমি, ও খেলার মাঠ দখল করে, শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ের গোল্ড হাব। চলতি বছরের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের ফরিদপুর গ্রামে এই গোল্ড হাবের ভার্চুয়ালি মাধ্যমে শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ এর পালা বদলের পর থেকেই, দাসপুর বাসীর কর্মসংস্থানের কথা কে গুরুত্ব দিয়ে, ভাবনাচিন্তা শুরু করে প্রশাসন।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতই, জেলা প্রশাসন শুরু করে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ। সবুজ সংকেত দেয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

আর সেই গোল্ড হাব শুরু হতেই, বাধা দিল গ্রামের মানুষজন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের একটি মাত্র খেলার মাঠ যেখানে গ্রামের কচিকাচা থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়ারা খেলাধুলা করে, এই মাঠেই হয় গ্রামের দুর্গাপুজো, ও মাঠ লাগোয়া জায়গা শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আর সেই জায়গাতেই তৈরি করা হচ্ছে গোল্ড হাব, গ্রামের মানুষদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই। গ্রামের মানুষের দাবি গোল্ড হাব এই গ্রামেই হোক, কিন্তু খেলার মাঠ ও শ্মশান বাদ দিয়ে। আমরা জায়গা দেব গোল্ড হাবের। এই নিয়েই গ্রামবাসী একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত আবেদন জানালেও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। আর এতেই গ্রামের মানুষরা ক্ষোভে ধীর ধীরে আন্দোলনে রূপান্তরিত করে, গ্রামে প্রতিবাদ সভা,মিটিং মিছিল শুরু করে গ্রামবাসীরা। মাঠ বাঁচানোর জন্য হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় মিছিলে হাঁটে স্কুল পড়ুয়ারাও। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় গ্রামের মানুষজন। সেখানেই বাঁধে যত গন্ডগোল। কলকাতা হাইকোর্টের জল গড়াতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টি এস শিবঞ্জানম ও হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসককে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

দাসপুর ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জায়গাটি ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের অধীন। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে এমএসএমই কে জমি দেয়া হয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনে গোল্ড হাব তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি (দাসপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি)
আশিষ হুদাইত বলেন , দাসপুরের হাজার হাজার ছেলে বাইরে সোনার কাজ করে। তাই দাসপুরে একটা কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করছে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু কিছু মানুষ তাদের আবেগের জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, তাই সে আন্দোলন সফল হবে না, তার কারণ আগে মানুষের পেট তারপরে খেলাধুলো।

এ বিষয়ে দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ, ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও ফোনে আমাদের জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে, যেহেতু আদালতের একটি নির্দেশ এসেছে, জেলাশাসকের কাছে, তাই কাজটি বন্ধ রয়েছে। তবে যাই হোক গ্রামের মানুষ চাইছেন, এই এলাকাতেই গোল্ড হাব হোক, কিন্তু খেলার মাঠ ও শ্মশান বাঁচিয়ে। এখন দেখার শেষমেষ গোল্ড হাবে র ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

Published on: Jul 24, 2023 04:26 PM