Heatstroke Symptoms: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি, এড়াবেন কীভাবে?
যখন দেহের তাপমাত্রা বাড়ে তখন হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন হতে থাকে। তখন রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে বেশি কাজ করতে হয়। তখন ত্বকের উপরিতলে ঘাম তৈরি হয়
রাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গায়ে তাপ লাগলেও,গরম হলেও ঘামের পরিমাণ কম। এমন আবহাওয়াতেই বাড়ে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। এই গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। যখন দেহের তাপমাত্রা বাড়ে তখন হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন হতে থাকে। তখন রক্ত পাম্প করার জন্য হৃদপিণ্ডকে বেশি কাজ করতে হয়। তখন ত্বকের উপরিতলে ঘাম তৈরি হয়। এই ঘাম আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যদি শরীর শীতল হতে না পারে ,তখন হৃদপিণ্ড-সহ দেহের অন্যান্য অঙ্গের উপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে। তখন শরীরে যে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়,সেটাই হল হিট স্ট্রোক। এ বছর তাপ লাগলেও,সেই পরিমাণ ঘাম হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। যে কোনও মানুষের হিট স্ট্রোক হতে পারে। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে কাজকর্ম করছেন,তাঁরা এই সময় সাবধানে থাকুন। উচ্চ রক্তচাপ,কোলেস্টেরল কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, এই গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে তার লক্ষণগুলো শরীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হল ঘাম না হওয়া,ত্বকের উপরিতল শুষ্ক হয়ে যাওয়া,রক্তচাপ কমে যায়। হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে পেশিতে টান ধরে। শরীরে জলশূন্য হয়ে গেলে এমন লক্ষণ প্রকাশ পায়। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। যে খাবারই খাবেন,তাতে জলের পরিমাণ যেন বেশি হয়। দিনের বেলা বিশেষত রোদে বাইরে বেরোবেন না। একদম ভোরে কিংবা বিকালের পর যোগব্যায়াম করুন। রাতে হাঁটতে যেতেও পারেন।