Jalpaigudi CPIM: কথা রাখল সিপিআইএম
আবাস যোজনার ঘর পাননি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজির পাড়ার বৃদ্ধা মিলনা রায়। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিযেছিলেন। ভোটের পর সিপিএম কর্মীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে, অথবা সেচ্ছাশ্রম দিয়ে বৃদ্ধার বাড়ি তৈরি শুরু করলেন।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে খানিকটা সাফল্য পেয়েছে সিপিএম। আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার বদলে তারা লোকসভা ভোটের জন্য কোমড় বাঁধতে শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তারা রক্তে গড়া বক্রেশ্বরের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো,এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে অসহায় মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে ছিলেন। এবার দেখা গেলো আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতে। আবাস যোজনার ঘর পাননি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজির পাড়ার বৃদ্ধা মিলনা রায়। সহায়সম্বলহীন বিধবা মহিলার ঘর কয়েক বছর আগে ঝড়ে ভেঙে যায়।এরপর বাড়ির পাশেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে নিজে বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনও রকম ভাবে দিন গুজরান করছিলেন।যেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে রয়েছেন তারও অবস্থা বেহাল।বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে জল ঝড়ে। আবাস আন্দোলনের সময় গ্রামে খোঁজ নিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে সিপিএম কর্মীদের।এরপর মহিলা স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছিলেন তাকে আবাস যোজনার মাধ্যমে একটি ঘর দেওয়া হোক। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিযেছিলেন। ভোট পর্ব মিটেছে। এবার ওই গ্রামে জিতেছে সিপিএম প্রার্থী গৌরী রায় শীল। যেমনি প্রতিশ্রুতি তেমনি কাজ। গ্রামের সিপিএম কর্মীরা যে যার সাধ্য মতো চাঁদা দিলেন। কেউ দিলেন সেচ্ছাশ্রম। আজ সেই টাকা একত্রিত করে বাড়ি তৈরীর যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে বৃদ্ধার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া শুরু করলেন সিপিএমের কর্মীরা।