Woman Cab Driver: কে বলেছে দীপ্তা হওয়া যায় না?

দীপ্তার জীবনে তাঁর মায়ের অবদান অনেক। তাই মাকে একা রেখে, বিদেশে সুখে থাকার স্বপ্ন তিনি দেখেন না। মায়ের একাকীত্ব, মেয়ে পূরণ করেন। সারাদিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরে, মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে তিনি অনেকটাই ভাগ্যবান মনে করেন নিজেকে। মহিলা ক্যাবচালোক হিসেবে তাঁকে অনেক সময় কটু কথা শুনতে হয়েছে। কখনো তিনি প্রতিবাদ করেছেন কখনো আবার নীরব থেকেছেন

Woman Cab Driver: কে বলেছে দীপ্তা হওয়া যায় না?
| Edited By: | Updated on: May 06, 2023 | 7:17 PM

দীপ্তা ঘোষ। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি টেক পাশ করার পর,খুব সহজেই কলকাতা ছেড়ে বিদেশে বা অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে পারতেন। বিদেশে বা অন্য রাজ্যে নামি কোম্পানিতে কাজ করে প্রচুর অর্থও উপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে হঠাৎ ক্যাপচালকের পেশা কেন বেছে নিলেন তিনি? দীপ্তার জীবনে তাঁর মায়ের অবদান অনেক। তাই মাকে একা রেখে, বিদেশে সুখে থাকার স্বপ্ন তিনি দেখেন না। মায়ের একাকীত্ব, মেয়ে পূরণ করেন। সারাদিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরে, মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে তিনি অনেকটাই ভাগ্যবান মনে করেন নিজেকে। মহিলা ক্যাবচালোক হিসেবে তাঁকে অনেক সময় কটু কথা শুনতে হয়েছে। কখনো তিনি প্রতিবাদ করেছেন কখনো আবার নীরব থেকেছেন। কলকাতায় যখন ৪০ ডিগ্রী গরমে রাস্তাঘাট শুনশান, তখনও তিনি শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ক্যাব নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন যাত্রী পরিষেবা দিতে। তিনি যখন গাড়ি স্টিয়ারিং এ বসেন গাড়ি যেন তাঁর সঙ্গে কথা বলে। ভিড় রাস্তা হোক বা সরু গলি যেকোন রাস্তাতেই তিনি নিখুঁতভাবে গাড়ি চালান। একদিন তার গাড়িতে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা উঠেছিলেন। সেই মহিলা যাবেন হাসপাতালে। মহিলার যাতে কষ্ট কম হয় তাই জন্য তিনি গাড়ির গতিবেগ অনেকটাই কম রেখে চালিয়েছিলেন। সেই মহিলার কাছে তিনি অনেক প্রশংসাও পেয়েছেন। শত কষ্টের মধ্যেও মানুষের এই ভালবাসা তাঁকে বাড়তি অক্সিজেন দেয়। হাজার ক্লান্তিতেও তাঁর চোখ মোবাইলে স্ক্রিনে দিকে চলে যায়। আবার কোন যাত্রী তাঁর জন্য হয়তো অপেক্ষা করছে। তাঁকে নিয়ে আবার পৌঁছে যেতে হবে নতুন ডেসটিনেশনে। শত কষ্টের মধ্যেও তাঁর মুখে একরাশ হাসি। হাসিমুখেই তিনি সংসারে কাজ করে চলেছেন। ব্যস্তময় জীবনে এভাবেই তিনি ভালো আছেন। এভাবেই তিনি এগিয়ে চলছেন জীবন যুদ্ধে।

Follow Us: